আশুলিয়ায় কারখানা খুলে দেয়ার দাবীতে শ্রমিক বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ

প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪:৫৯ | অনলাইন সংস্করণ

  আশুলিয়া প্রতিনিধি

ঢাকার শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়াসহ বেতন বৃদ্ধির দাবিতে তিনটি কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে। এসময় তারা বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। তবে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে বন্ধ রয়েছে ১৬টি কারখানা। এর মধ্যে ১০টি কারখানা ১৩(১) ধারায় এবং বাকী ৬টিতে সাধারণ ছুটি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।  

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কের জিরাবো এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে লুসাকা গ্রুপের কারখানার শ্রমিকরা। পরে তাদের সাথে মন্ডল গ্রুপ ও ম্যাংগো টেক্স গার্মেন্টসের শ্রমিকরাও যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করে  

শিল্প পুলিশ জানায়, সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে শিল্পাঞ্চলের প্রায় সব কারখানার শ্রমিকরা কর্মস্থলে যোগ দিয়ে উৎপাদন শুরু করে। শ্রমিক উপস্থিতিও রয়েছে স্বাভাবিক দিনের মতোই। তবে লুসাকা নামের একটি বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকরা কারখানার সামনে অবস্থান নেয়। এসময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা আশপাশের কয়েকটি কারখানার সামনে গিয়ে অসন্তোষ সৃষ্টি করলে আরও ৪ টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। পরে মন্ডল গ্রুপের শ্রমিকরা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সড়কে অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

শিল্প পুলিশ আরো জানায়, শিল্পাঞ্চলের ১৮৬৩টি কারখানার মধ্যে অর্থনৈতিক সংকট ও নিরাপত্তার স্বার্থে আজও শ্রম আইনের ১৩(১) ধারায় বন্ধ রয়েছে ১০টি কারখানা এবং সাধারণ ছুটি রয়েছে ৬টি কারখানা।

শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় পুরোদমে উৎপাদন চলছে। তবে আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় বেতন বৃদ্ধির দাবিতে মন্ডল গ্রুপের শ্রমিকরা জিরাবো এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। আমরা বুঝিয়ে তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। এছাড়া শ্রম আইনের ১৩(১) ধারায় ১০টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে।  আরও ৬টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে শিল্পাঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, শ্রমিক অসন্তোষের মুখেও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলসহ বাইরের প্রায় ৭ শতাধিক কারখানায় উৎপাদন স্বাভাবিক রয়েছে। তবে বকেয়া বেতন ও বন্ধ কারখানা খুলে দেয়াসহ নানা দাবিতে মাঝেমধ্যে বেশ কিছু কারখানায় অসন্তোষ চলে আসছিলো। সবশেষ গত বৃহস্পতিবার ১৭টি কারখানায় উৎপাদন বন্ধ থাকার পর আজ ১৬টি বন্ধ রয়েছে। যদিও আগে এই বন্ধ কারখানার সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়েছিলো।