দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলাজায় প্রাণীসম্পদ বিভাগের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ছাড়পত্র ছাড়াই বিভিন্ন হাট-বাজারে গবাদি পশু জবাই, অবাধে প্রকাশ্যে রক্ত মাখানো বাসি মাংস বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। আর সাধারণ জনগণ বাধ্য হয়ে অথবা নিয়ম-কানুন না জেনেই কিনছেন সেসব মাংস। এতে বাড়ছে ভয়াবহ স্বাস্থ্য ঝুঁকি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাট- বাজার গুলোতে দেখা গেছে এমন চিত্র।খাসির মাংস কিনতে আসা মো. আলিনুর বলেন, মাংস কিনেছি। কিন্তু খাসি সুস্থ নাকি অসুস্থ তা জানি না। সাধারণ ক্রেতারা উচ্চমূল্য দিয়েও ভেজালমুক্ত মাংস কেনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
পৌর বাসিন্দা মানিক মিয়া বলেন, ভোররাতে সবার অগোচরে গরু-ছাগল ও ভেড়া জবাই হয়। ফলে আমরা কী সুস্থ নাকি অসুস্থ, পশুর মাংস টাকা দিয়ে কিনে খাচ্ছি তা কেউই আমরা জানি না।যানা যায়, বিভিন্ন বাজারে প্রতিদিন প্রায় ৫০-৬০ টি পশু জবাই হয়।
প্রাণীসম্পদ কর্ত্বপক্ষকে জানিয়ে এসব পশু জবাই করার নিয়ম থাকলেও তা অনুসরণ করছেন না মাংস ব্যবসায়ীরা। নজরদারি না থাকায় বিশেষ করে রক্ত মাখানো ফ্রিজিং মাংস বিক্রিসহ প্রায়ই নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠে। এসব এলাকায় প্রশাসনিক তদারকির মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের দাবি জানান।
এলাকাবাসী বীরগঞ্জ উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তাকে অনেক বার অভিযোগ করেও কোন ফল হয়নি।