চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে টোরাগড় ও মকিমাবাদ দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত কিশোর মো. সাইমন হোসেন (১৬) মৃত্যুর ঘটনায় দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিকালে হাজীগঞ্জ পুলিশ তাদেরকে মামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে চাঁদপুর আদালতে সোপর্দ করে। বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক।
বুধবার (২ অক্টোবর) দিনগত রাতে চট্টগ্রাম থেকে ইকবাল সর্দারকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৭ এবং শাহআলম ভুট্টুকে গ্রেপ্তার করে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ। ইকবাল সর্দার হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৬নম্বর ওয়ার্ড মকিমাবাদ গ্রামের সর্দার বাড়ি এবং শাহআলম ভুট্টো ৭নম্বর ওয়ার্ড টোরাগড় গ্রামের মুন্সী বাড়ির বাসিন্দা।
গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় মো. সাইমন। ২০ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সন্ধ্যায় হাজীগঞ্জ বাজারে টোরাগড় ও মকিমাবাদ গ্রামের দু-গ্রুফের সংর্ঘষের ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
নিহত সাইমন হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার তাহফিজুল কোরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। তার বাবার বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের দিঘদাইর গ্রামে এবং তার সৎ বাবার বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার মহামায়া চরবাকিলা গ্রামে।
সাইমন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত ২২ সেপ্টেম্বর রোববার নিহত সাইমনের মামা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা (নং-১৪) দায়ের করেন।