সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে সন্ত্রাসীর গুলিতে শাহ আলম নামের এক ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এঘটনায় রবিউল ইসলাম হৃদয় নামের এক সন্ত্রাসীকে পিস্তসহ আটক করেছে পুলিশ। শাহ আলম বর্তমানে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রোববার (৬ অক্টোবর) বিকেলে কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শনিবার রাতে সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ সড়কের নলতায় জনৈক রফিকুল ইসলামের বাঁশবাগান সংলগ্ন এলাকায় এঘটনা ঘটে। শাহ আলম দেবহাটা উপজেলার মাটিকুমড়া গ্রামের বাসিন্দা। নলতা বাজারে তার ফাতেমা টেলিকম নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানে তিনি মোবাইল বিক্রিসহ ফ্লেক্সিলোড ও বিকাশের এজেন্ট হিসেবে ব্যবসা করতেন। এদিকে, আটক রবিউল ইসলাম হৃদয় (৩২) কালিগঞ্জ উপজেলার পাইকাড়া গ্রামের নূরইসলামের ছেলে।
নলতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম রবিবার বিকালে জানান, শাহ আলম শনিবার রাত এগারটার দিকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে তার প্রতিবেশি বন্ধু অহিদুল ইসলামের মোটরসাইকেলে বাড়িতে ফিরছিলেন। কিছুদূর যেতেই জনৈক রফিকুল ইসলামের বাঁশবাগান সংলগ্ন এলাকায় সন্ত্রাসীরা তাদের মোটরসাইকেল গতিরোধ করে শাহ আলমের কাছে থাকা ৭ লাখ টাকাসহ ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে শাহ আলমকে লক্ষ্য গুলি ছোড়া হয়। এতে তিনি বুকের বাম পাশে গুলিবিদ্ধ হন। এসময় শাহ আলম চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে হৃদয়কে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। বাকী সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের সহকারী রেজিস্টার ডা. আসাদুজ্জামান জানান,শাহ আলমের বুকের বামপাশে লাগা গুলিটি বের করা হয়েছে। এখনো তার জ্ঞান ফেরেনি। তিনি শঙ্কামুক্ত কিনা, এখনি বলা যাচ্ছেনা। ।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, বিদেশী পিস্তলসহ রফিকুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। তবে স্থানীয়দের গণধোলাইয়ে সে গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে চিকিৎসার জন্য পুলিশ হেফাজতে কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় এখনো মামলা হয়নি বলে আরো জানান ওসি।
