দেশজুড়ে আলোচিত-সমালোচিত কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা হয়েছে। এবারের মামলায় তাঁর স্ত্রী ও একই সংসদীয় আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন আক্তারকেও আসামি করা হয়েছে। হত্যাচেষ্টা, বেআইনি অস্ত্র নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে গুলিবর্ষণ ও হামলার অভিযোগে করা এই মামলায় ৭২ জনের নাম উল্লেখ করে অন্তত ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
কক্সবাজার সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের টেকনাফ মডেল থানায় মামলাটি করেছেন টেকনাফের সদর ইউনিয়নের নতুন পল্লান পাড়ার মোহাম্মদ নামের এক ব্যক্তি। তিনি টেকনাফ সদর ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক।
মঙ্গলবার রাতে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবার মামলাটি আদালতে পাঠানো হয়েছে। টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন মামলার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
৫ আগষ্ট গণঅভ্যুত্থানের আগের দিন ৪ আগষ্ট দুপুরে ও বিকালে টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী রাস্তার মাথা ও ঝর্ণা চত্ত্বর এলাকায় সংঘটিত ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের বিরুদ্ধে করা ওই সহিংসতায় মামলাটি করা হয়েছে। এই মামলায় আবদুর বদি ও তাঁর স্ত্রী শাহীন আক্তার ছাড়াও টেকনাফ উপজেলা আ.লীগের সভাপতি নুরুল বশর, ্হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী, ছাত্রলীগ নেতা তারেক মাহমুদ রনি, আওয়ামী লীগ নেতা সোনা আলী, সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেনসহ নাম উল্লেখ করা সকলেই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বৈরাচারি সরকার পতনের একদফা কর্মসূচি চলাকালে শান্তিপূর্ণ মিছিল করার সময় ‘বিতর্কিত এমপি’ ও ‘ইয়াবা সম্রাট’ আবদুর রহমান বদি ও তাঁর স্ত্রী শাহীন আক্তারের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসিরা মিছিলে হামলা চালায়। ওই সময় অবৈধ অস্ত্র দিয়ে গুলিবর্ষণ ও ভাংচুর করা হয়। পরে মিছিলকারিদের রক্ষায় সাধারণ জনতা রাস্তায় নেমে এলে হামলাকারিরা গুলিবর্ষণ করতে করতে চলে যায়।