মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশি ট্রলারে গুলি, জেলে নিহত
প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১৪:৪৫ | অনলাইন সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার
বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদূরে বাংলাদেশি মাছ ধরার ট্রলারকে লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলিবর্ষণের ঘটনায় একজন জেলে নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত আরও তিনজন। এ সময় ৬০ মাঝি-মাল্লাসহ ৪ ট্রলার অপহরণ করে মিয়ানমারের নিয়ে গেছে দেশটির নৌবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বঙ্গোপসাগরে সেন্টমার্টিন দ্বীপের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জেলে ওসমান (৫০) টেকনাফে শাহপরীর দ্বীপের কোনা পাড়ার বাছা মিয়ার ছেলে। তিনি পুরনো রোহিঙ্গা বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, এসব ট্রলারসহ মাঝি-মাল্লাদের মিয়ানমারে ধরে নিয়ে গেছে। সাগরে মাছ ধরার সময় তাদের ওপর হামলা ও অপহরণের ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের ইউপি সদস্য আবদুস সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, তাঁর এলাকার লোকজন ৬টি ট্রলার নিয়ে সেন্টমার্টিনের অদূরে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে যায়, এসময় মিয়ানমারের নৌবাহিনী গুলি চালায়। এতে একজন মারা যান। এছাড়া আরও দুই জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পেয়েছি। গতকাল বুধবার বিকেলে সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে ৩০ কিলোমিটার ভিতরে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের সময় ৬টি বোটে এ ঘটনা ঘটে।
ট্রলার মালিক সাইফুল জানান, বুধবার সাগরে মাছ ধরার সময় হঠাৎ মিয়ানমার নৌবাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া করে গুলি বর্ষণ শুরু করে। এতে তার ট্রলারের ৩ জন গুলিবিদ্ধ হন এবং এদের মধ্যে একজন মারা যান। পরে নৌবাহিনীর সদস্যরা ট্রলারসহ সবাইকে আটক করে। তবে বৃহস্পতিবার ওই ট্রলারটি ছেড়ে দেওয়া হয়। নিহত এবং আহত জেলেদের নিয়ে ট্রলারটি শাহপরীর দ্বীপের উদ্দেশ্যে যাত্রা দিয়েছে। তবে এখনও ঘাটে এসে পৌঁছায়নি।
এ ব্যাপারে বিজিবির টেকনাফস্থ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, সেন্টমার্টিনের অদূরে বঙ্গোপসাগরে মিয়ানমারের সীমান্তে নৌবাহিনীর গুলিতে একজন নিহত এবং আরও তিনজন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় বিস্তারিত খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
ট্রলার মালিকরা জানিয়েছেন, গতকাল বুধবার দুপুরে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ পশ্চিমের মৌলভীর শিল নামের মোহনায় এই ঘটনা ঘটে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন আরও ৩ জেলে। তবে তাদের নাম ঠিকানা জানা যায়নি।
তাদেরকে বৃহম্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে ছেড়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছে ট্রলার মালিকেরা। তাদের টেকনাফ পৌঁছাতে ৪ ঘণ্টার বেশি সময় লাগবে।