শেরপুরে আকস্মিক বন্যায় ফসল নিয়ে শঙ্কায় কৃষকরা
প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫:৫৩ | অনলাইন সংস্করণ
শেরপুর প্রতিনিধি
ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে আকস্মিক বন্যায় শেরপুরের পাঁচটি উপজেলার আমন ধান খেত, শাক-সবজি ও মৎস্য খামারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানি বন্দি রয়েছে নিম্নাঞ্চলের অনেক পরিবার। ছোট-বড় অসংখ্য পুকুর ডুবে গেছে। পানি উঠে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে প্লোট্টি খামারিরা। ঘর-বাড়িতে পানি উঠায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
কিছু এলাকায় পানি নেমে অন্য গ্রাম গুলো নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে। শেরপুরের শ্রবরর্দী, ঝিনাইগাতি, নালিতাবাড়ী, নকলা ও শেরপুর সদরে অনেক আমন ধান খেত এখনো পানির নিচে নিমজ্জিত রয়েছে। এতে করে ফসল ঘরে তুলা নিয়ে শংকায় পড়েছে কৃষকরা। দ্রুত পানি না নেমে গেলে ফসলের ভয়াবহ ক্ষতি হবে বলে ধারণা স্থানীয়দের।
জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে শেরপুর জেলার , নিম্নাঞ্চল আকস্মিকভাবে প্লাবিত হয়ে পড়ে। এতে কৃষকের আমন ধান খেত, সবজি বাগান সহ বিভিন্ন ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়ে যায়।
৯অক্টোবর বুধবার সকালে জেলা কৃষি হুমায়ূন আহাম্মেদ জানান, উপজেলার বিভিন্ন উপজেলায় ২০ হাজার ২৮৯ হেক্টর জমির আমন ধান ও ২৫৬ হেক্টর জমির শাকসবজি সম্পূর্ণ পানির নিচে নিমজ্জিত রয়েছে। এছাড়াও ২০ হাজার ১৯৫ হেক্টর জমির আমন ধান ও ১০হাজার হেক্টর জমির সবজি খেত আংশিক নিমজ্জিত। দ্রুত পানি নেমে না গেলে ক্ষয়ক্ষতি আরো বাড়তে পারে। তিনি আরো বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের কৃষি প্রণোদনার আওতায় নিয়ে আসা হবে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রনব কুমার কর্মকার জানান, জেলায় প্রায় ছোট-বড় ২২০ জন খামারির ৩৪০ মেট্টিক টন মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এতে শেরপুরের মৎস্য সেক্টরে প্রায় ৭০ কোটি ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, আমরা সবসময় বন্য পরিস্থিতির খোঁজখবর রাখছি। ইতোমধ্যেই ২ হাজার জনের মাঝে শুকনো খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। জেলা প্রশাসক সর্বদা ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে রয়েছে।