শহীদ আবু সাঈদের তিন ভাই-বোন চাকরি পেলেন
প্রকাশ : ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:৪৮ | অনলাইন সংস্করণ
রংপুর ব্যুরো
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের(বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদের তিন ভাই-বোনের চাকরি হয়েছে। শহীদ সাঈদের ছোট বোন সুমি খাতুনকে চাকরি দিয়েছে বেরোবির কর্তৃপক্ষ।বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. শওকাত আলী সেমিনার অ্যাটেনডেন্ট পদে সুমির হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. তাজুল ইসলামসহ আবু সাঈদের দুই ভাই উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, বসুন্ধরা গ্রুপ আবু সাঈদের ভাই আবু হোসেন এর রংপুর ব্যুরো অফিসের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী, আরেক ভাই রমজান আলীকে বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার রংপুর ব্যুরো অফিসের একই পদে নিয়োগ দিয়েছে। ওইদিন দুপুরে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের পক্ষে ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মো. ইয়াসিন হোসেন পাভেল পীরগঞ্জের বাবনপুরে শহীদ আবু সাঈদের গ্রামের বাড়ি যান।
সেখানে আবু সাঈদের দুই ভাই আবু হোসেন ও রমজান আলীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন তিনি।
পাভেলের সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিপণন বিভাগের প্রধান সালাউদ্দিন আহমেদ।দুই ভাইয়ের নিয়োগপত্র গ্রহণ করেন শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন।এ সময় মা মনোয়ারা বেগম, বোন সুমি বেগমসহ প্রতিবেশি ও অন্য স্বজনরা সেখানে ছিলেন।
মকবুল হোসেন বসুন্ধরা গ্রুপ তার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোয় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ।
তিনি বলেন, “আমি আজ অনেক খুশি। আমার দুই ছেলেকে উনারা (বসুন্ধরা গ্রুপ) চাকরি দিয়েছে। আল্লাহ তাদের ভালো করুক, তাদের প্রতি রহম করুক। আমার এক ছেলেকে হারিয়ে কষ্ট পেয়েছি। কিন্তু দুই ছেলের বড় চাকরি হওয়ায় সাঈদের মা খুব খুশি হয়েছেন।”
বসুন্ধরা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক ইয়াসিন হোসেন পাভেল বলেন, “আন্দোলনের শুরু থেকেই বসুন্ধরা গ্রুপ ছাত্রদের সহযোগিতা করে আসছে। আমরা হাসপাতালে হাসপাতালে গিয়ে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেওয়া এবং সহযোগিতা করে আসছি।”তিনি বলেন, “আমাদের গ্রুপের চেয়ারম্যানের আকাঙ্ক্ষা ছিল, শহীদ আবু সাঈদের পরিবারকে সহযোগিতা করার। আমরা আজ তার দুই ভাইকে নিয়োগপত্র দিয়েছি।”
পরে তিনি পরিবারে অন্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন; তাদের খোঁজ-খবর নেন।যেকোনো সমস্যায় আবু সাঈদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন তিনি।আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী বলেন, “অনেকে আশ্বাস দিয়েছেন, কিন্তু কেউ চাকরি দেয়নি। বসুন্ধরা গ্রুপ আমাদের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। আজ তারা আমাদের দুই ভাইকে চাকরি দিয়েছে। আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।”
গত ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেরোরি ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু সাঈদ।তার মৃত্যুর পর সারাদেশে আন্দোলন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এর ধারাবাহিকতায় গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়।