ঢাকা ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সাম্প্রাদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির 'ছক' এঁকেছিল সাবেক কাউন্সিলর এহসান

দশ দিনের রিমান্ড আবেদন
সাম্প্রাদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির 'ছক' এঁকেছিল সাবেক কাউন্সিলর এহসান

যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর এহসান উল্লাহ চলমান দুর্গাপূজার উৎসবে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি এবং পূজামণ্ডপ ও পূজারীদের ওপর হামলা করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির অপচেষ্টা করেছিলেন। এই অপচেষ্টার অংশ হিসেবে তিনি কৌশলে কক্সবাজার শহরের গোলদিঘি পাড়ের পূজামন্ডপ এলাকায় অবস্থান করেন। পূজার কয়েক দিন আগে এই পরিকল্পনা করছিলেন তিনি।

শনিবার (১২ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে যৌথ বাহিনী। এদিকে এদিন দুপুরে বহুল বিতর্কিত সাবেক কাউন্সিলর ও দাগী সন্ত্রাসী এহসান উল্লাহকে আদালতে তুলে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।

অন্যদিকে আইনজীবির মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন এহসান উল্লাহ। তবে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এহসানুল ইসলাম। তবে রিমান্ড শুনানি করা হয়নি।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কক্সবাজার শহরের গোলদিঘি পাড় এলাকা থেকে সাবেক কাউন্সিলর এহসান উল্লাহকে আটক করে যৌথবাহিনী। ওই দিন রাতেই কড়া পাহারায় তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়জুল আজীম নোমান জানান, এহসান উল্লাহ ৪ আগস্ট ২৪ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর গুলিবর্ষণ এর সাথে জড়িত ছিল এবং হামলায় অস্ত্র যোগানোর অভিযোগ রয়েছে। এঘটনায় পুলিশের দায়ের করা হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এলাকাবাসী ও পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে যৌথবাহিনীর বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সাবেক কাউন্সিলর এহসান উল্লাহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপসহ বহু অপকর্মের হোতা। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, চাঁদাবাজি, ইয়াবা ব্যবসা, ভুমিদখলসহ ১০টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের মামলা ও শতাধিক অভিযোগ রয়েছে। বিতর্কিত সাবেক এই কাউন্সিলরের গ্রেপ্তারের ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে স্বস্তি বিরাজ করছে।#

যৌথ বাহিনী,অভিযান,কাউন্সিলর এহসান
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত