ইলিশের বড় পাইকারী বাজার চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ছিলো বেচাকেনায় সরগরম। মাত্র ১২ থেকে ১৪ ঘন্টার ব্যবধানে সেই আড়তের চিত্র পাল্টেগেছে। ইলিশ শূন্য আড়তগুলো একেবারে সুনাসান নীরবতা। পদ্মা-মেঘনায় মা ইলিশের প্রজনন রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় এমন পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। এখানকার আড়তগুলোর ক্রেতা-বিক্রেতা ও শ্রমিক সকলেই এখন অবসরে।
রোববার (১৩ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পুরো মাছঘাটই ছিলো ফাঁকা। যেখানে শনিবার রাত পর্যন্ত চড়া মূল্যে বিক্রি হয়েছে ইলিশ। চলতি মৌসুমে ১ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ২০০ টাকা করে।
মাছঘাটের ব্যবসায়ী দেলোয়ার ব্যাপারী বলেন, পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা। ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত আমাদের ইলিশ ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ থাকবে। যে কারণে আমাদের সব আড়ৎ বন্ধ। ইলিশের সরবরাহ থাকলে আবারও ৪ নভেম্বর থেকে আড়তগুলো সরগরম হয়ে উঠবে। এই সময়টা আড়তদার ও শ্রমিক সকলেই বেকার সময় কাটাবেন।
জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক তছলিম বেপারী বলেন, জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সিদ্ধান্ত ইলিশের বাড়িতে ইলিশ যে কোন মূল্যে রক্ষা করা হবে। এই বিষয়ে ব্যবসায়ীসহ অংশীজনরা একমত হয়েছেন। জলে ও স্থলে আমাদের অভিযান চলছে।
এদিকে পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশের নিরাপদ প্রজনন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সচেতনতামূলক সভায় গতকাল শনিবার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন জেলেদের কঠিন হুশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি জেলেদের উদ্দেশ্যে করে বলেন, ৭০ কিলোমিটার নদী এলাকার জেলে পল্লীতে গিয়ে জেলেদেরকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষার বিষয়ে সচেতন এবং সতর্ক করেছি। আইন অমান্য করে ইলিশ ধরলে ভুল নয়, অপরাধ হবে। অপরাধ করলে অবশ্যই ওইসব জেলে আইনের আওতায় আসবে।