হিন্দু ধর্মাবলম্বীদে সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের বিজয়া দশমীতে দেশের ‘সর্ববৃহৎ’ প্রতিমা বিসর্জনের জন্য প্রস্তুত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। এই বিসর্জনকে ঘিরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত সহ পুরো জেলাজুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে কড়া নিরাপত্তা। এই উপলক্ষে রোববার দুপুর থেকে সৈকতের লাবণী পয়েন্টের উন্মুক্ত মঞ্চে বিজয়া সম্মেলন অনুষ্ঠান শুরু হয়। কক্সবাজার জেলা ও আশপাশের এলাকার অর্ধশতাধিক মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে এই স্থানে। যা ঘিরে পর্যটক ও পূজারি মিলে লাখেরও বেশি মানুষের সমাগম ঘটবে। দুপুর নাগাদ জেলা বিভিন্ন স্থান থেকে কড়া নিরাপত্তায় ট্রাকে ট্রাকে আসছে প্রতিমা।
কক্সবাজারে পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, পূজারি মিলে লাখেরও বেশি মানুষের সমাগম হয়েছে। প্রতিমা বিসর্জন উৎসব নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসন সবরকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। সেনা, নৌ, বিমানবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কাজ করছে। প্রতিমা বিসর্জনে দুর্ঘটনা এড়াতে মহড়ায় থাকবে নৌবাহিনীর সোয়াটস কমান্ড।
কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর উদয় শংকর পাল মিঠু বলেন, দেশের সর্ববৃহৎ প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানে কক্সবাজারের অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। পূজারিরা আসতে শুরু করেছে। ২টার দিকে অনুষ্ঠানের স্থলে প্রতিমা আনা হয়। প্রায় ৩ লাখের বেশি মানুষের সমাগম হবে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিওনের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম বলেন, পর্যটক ও পূজারিদের নিরাপত্তায় আমাদের কন্টোল রুম চালু করা হয়েছে। আমাদের সঙ্গে র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের সদস্যরা কাজ করছে।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমন কান্তি চৌধুরী বলেন, রামু থেকে কড়া নিরাপত্তায় নাইক্ষ্যংছড়িসহ ৭ টি প্রতিমা বিসর্জনের জন্য কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পাঠানো হয়েছে। বাকি গুলো বাঁকখালী নদীতে বিসর্জন দেয়া হবে। ওখানেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্তক অবস্থানে রয়েছে।