ঢাকা ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চট্টগ্রামে এলপিজি বহনকারী লাইটারেজ জাহাজে অগ্নিকাণ্ড

চট্টগ্রামে এলপিজি বহনকারী লাইটারেজ জাহাজে অগ্নিকাণ্ড

বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ার কৈয়ারবিল পয়েন্টে নোঙর করা এলপিজি বহনকারী লাইটারেজ জাহাজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই সময় ৩১ জন নাবিককে উদ্ধার করা হয়। কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের টাগ বোট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

শনিবার (১২ অক্টোবর) দিনগত রাত ১২টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

বাংলাদেশে এলপিজি শিপ টু শিপ (এসটিএস) লাইটারিংয়ের মতো বিশেষায়িত কাজে এটি ছিল প্রথম জাহাজ। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ আগুনের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করলেও আগুনের কারন কিংবা হতাহতের তথ্য জানাতে পারেনি। তবে জাহাজটিতে এক ইন্দোনেশিয়ান চিফ অফিসার ছিল বলে জানা গেছে।

এছাড়াও ভারতীয় ও বাংলাদেশী ক্রু ছিলেন। সাগরে ভাসমান নাবিকদের উদ্ধারকাজে সহায়তা করে টাগবোট ‘তুফান এক্সপ্রেস’।

এ টাগ বোটের মাস্টার নজরুল ইসলাম জানান, আগুন লাগার পর প্রথমে জাহাজে থাকা অগ্নিনির্বাপণকারী ইক্যুইপমেন্ট দিয়ে নেভানোর চেষ্টা করেন নাবিকেরা। পরে ক্যাপ্টেনের নির্দেশে জীবন বাঁচাতে নাবিকেরা তিনটি গ্রুপে ভাগ হয়ে সাগরে ঝাঁপ দেন। ৩১ জনকে উদ্ধার করে আমাদের টাগ বোট রোববার (১৩ অক্টোবর) সকালে পতেঙ্গা উপকূলে পৌঁছে দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। তবে মেরিনারদের ধারণা, অপরিশোধিত জ্বালানি তেল খালাসে নিয়োজিত রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) লাইটার জাহাজ ‘বাংলার জ্যোতি’ ও ‘বাংলার সৌরভ’ এ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর এলপিজি খালাসের জাহাজে আগুনের ঘটনা ‘নাশকতা’।

তিনি আরও বলেন, তবে সুপরিকল্পিতভাবে দেশে তেল ও গ্যাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটাতে কোনো চক্র কাজ করছে কি না তা খতিয়ে দেখা দরকার।

প্রসঙ্গত, গত ৫ অক্টোবর বঙ্গোপসাগরের বহির্নোঙ্গরে অবস্থানরত ‘ওটি বাংলার সৌরভ’ নামক একটি ট্যাঙ্কার জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। চার্লি এঙ্করেজ নামক আউটারে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের তেলবাহী জাহাজে এ ঘটনা ঘটেছিলো।

চট্টগ্রাম,জাহাজ,অগ্নিকাণ্ড
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত