ভোলার লালমোহন- নাজিরপুর লঞ্চঘাট জনবহুল সাতবাড়িয়া খালের ওপর ব্রিজের সংযোগ সড়কটির নিচ থেকে মাটি সরে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করছে ছোট বড় বিভিন্ন ধরনের শত শত যানবাহন। এতে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
জানা গেছে, গত কয়েক মাস আগে প্রবল বৃষ্টির কারণে সাতবাড়িয়া ব্রিজের সংযোগ সড়কের পশ্চিম পাশের অংশের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে অধিকাংশ স্থানে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ওপর থেকে দেখলে বিষয়টি অনেকেই ধারণা করতে পারবেন না। তবে সড়কের নিচ থেকে মাটি সরে যে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, তা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত ছোট, মাঝারি এবং ভারী যানবাহন চলাচল করে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে এসব যানবাহন চালকদের সতর্ক করতে ওই গর্তের স্থানে লাল কাপড় টানিয়ে দেয়া হয়। গর্ত হওয়ায় স্থানটি অতিদ্রুত মেরামত না করলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এলাকাসী জানান, ওই সড়ক দিয়ে গত ২০ বছর ধরে বালুবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। তবে কয়েকদিন ধরে দেখা যাচ্ছে নিচে বিশাল গর্তের কারণে সড়কটি ওপর থেকে দিনদিন দেবে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় আর কয়েকদিন থাকলেই সড়কটি ধসে পড়তে পারে। এতে করে বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সড়কের এই স্থানটি মেরামতের দাবি জানাচ্ছি।
অটো চালক জাকির বলেন, আমরা নিয়মিত এই সড়ক দিয়ে অটোরিকশা চালাই। সম্প্রতি ব্রিজ সংলগ্ন সড়কের নিচে একটি বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী অধিকাংশ যাত্রীও এই গর্তের কথাটি জানেন না। এতে করে এখান দিয়ে যাতায়াতের সময় সকলেই ভীষণ আতঙ্কিত থাকি। মনে হয় এই বুঝি ধসে পড়ছে সড়কটি! তাই সব ধরনের যানবাহন চালক ও যাত্রীদের জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাই শিগগিরই যেন গর্ত সৃষ্টি হওয়া স্থানটি মেরামতের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়।
ভোলা সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাইদুল ইসলাম বলেন, যানবাহন চালক, যাত্রী এবং পথচারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে খুব শিগগিরই ওই স্থানটি পরিদর্শন করে মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।