যশোরের বেনাপোল ইমিগ্রেশন হয়ে ভারতে প্রবেশকালে গ্রেফতার হয়েছেন আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য ও শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে বেনাপোল ইমিগ্রেশন ভবনে প্রবেশের সময় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই এর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করে কর্তব্যরত পুলিশ। তবে ওইসময় কৌশলে ভারতে ঢুকে পড়েন তার আরেক সঙ্গী রয়েল কোচ পরিবহনের মালিক সঞ্জয় কুমার কুণ্ডু। পরে চন্দন কুমার পালকে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফারুক মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বুধবার বিকেল ৩টার দিকে পাসপোর্ট -ভিসা নিয়ে বেনাপোল ইমিগ্রেশন ভবনে প্রবেশের সময় নিরাপত্তা কর্মী পুলিশ ও বিজিবির সন্দেহ হলে চন্দন কুমার পালকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। পরে তাকে শেরপুর সদর থানায় সোপর্দ করা হবে।
এদিকে এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পালকে গ্রেফতারের বিষয়ে শেরপুর জেলার পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম সন্ধ্যায় জানান, ভারতে প্রবেশকালে এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পালকে আটকের বিষয়টি তাকে অফিসিয়ালি জানানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে শেরপুর সদর থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এজন্য তাকে নিয়ে আসতে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল ৭৫ পরবর্তী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের দুদফায় সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়া তিনি জেলা আইনজীবী সমিতির দুদফায় সভাপতি ও আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর পাবলিক প্রসিকিউটর ছিলেন।