ভোলা প্রেসক্লাবে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এনটিভির জেলা প্রতিনিধি আফজাল হোসেনের নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে দৈনিক ভোরের কাগজের জেলা প্রতিনিধি এইচ এম নাহিদ এর উপর হামলা করা হয়েছে। হামলার একটি ক্লিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ভোলা প্রেসক্লাবে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক জরুরী প্রতিবাদ সভায় সকল সাংবাদিকদের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে সাংবাদিক আফজালকে ভোলা প্রেস ক্লাব থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার ও অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয় ।
ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত সাংবাদিক নাহিদ বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে ভোলা প্রেসক্লাবে একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এতে অতিথিদের বক্তব্যকালে সাংবাদিক কামাল উদ্দিন সুলতান আওয়ামী লীগের দোষরদের পক্ষে কথা বললে আমি তার প্রতিবাদ করি। এ সময় কোন কিছু না বুঝার আগেই এনটিভির প্রতিনিধি আফজাল হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে গালমন্দ করেন। আমি প্রতিবাদ করলে উপস্থিত অন্য সহকর্মীরা আমাদের ২ জনকে শান্ত করে দিয়েছেন। কিছুক্ষণ পর আফজাল হোসেন মোবাইল ফোনে তার শ্যালক মোঃ আলীসহ ২০/২৫ জন বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে আমার উপর অর্তকিত হামলা চালিয়ে আমাকে এবং আমার শ্যালক জাফর ইকবালকে এলোপাতাড়ি ভাবে চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করেন।
পরবর্তীতে আমাকে এবং আমার শ্যালক জাফরকে অন্যান্য সহকর্মী সাংবাদিকরা উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন। জাফরের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বরিশালের শেরে বাংলা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়।
এঘটনায় নাহিদের পরিবার থানায় মামলা দায়ের করেছে এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
এদিকে সন্ধ্যায় এক জরুরী সভায় বসে ভোলা প্রেসক্লাবের সদস্য ও জেলার পেশাদার সাংবাদিকরা। সভায় ভোলা প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক অ্যাড. নজরুল হক অনু ও সদস্য সচিব ওমর ফারুকসহ সকল বক্তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আফজাল হোসেন যে ঘটনা ঘটিয়েছেন তার এই অপরাধের কারণে ভোলা প্রেসক্লাব থেকে তাকে আজীবনের জন্য স্থায়ীভাবে বহিস্কার ও ভোলা জেলাতে আফজাল হোসেনকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়।
ভোলা সদর মডেল থানার এস আই সোহেল বলেন, খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে গিয়েছি। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
