আওয়ামী লীগ সরকার যে আইনের মাধ্যমে ট্রাইব্যুনাল গঠন করে নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে, সেই ট্রাইব্যুনালেই আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের বিচার চায় জামায়াত।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরএলাকার শংকরবাটি হেফজুল উলুম ফায়েজা খানম কালিম মাদ্রাসায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমনই মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজনে রুকন সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে প্রায় ২ হাজার নারী-পুরুষ রুকন সদস্য অংশ গ্রহণ করেন।
জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা আওয়ামী লীগ সরকার যে আইনে (আন্তর্জাতিক অপরাধ) ট্রাইব্যুনাল গঠন করে নিরপরাধ ব্যক্তিদের হত্যা করেছে, সেই আইনে তাদের বিচার দেখতে চাই। আশা করি, ওই আদালতেই আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের বিচার করা হবে।
আ.লীগের কঠোর সমালোচনা করে জামায়াতপ্রধান আরও বলেন, তারা প্রায় ১৬টি বছর গুম খুন করে ক্ষমতায় টিকে ছিল। সাধারণ মানুষকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছিল। স¤প্রতি কোটা বিরোধী আন্দোলনে বেহায়া-বেপরোয়া সরকার জনগণের বুকের ওপর যে গুলি ছুড়েছে-খুনের নেশায় মেতে উঠেছিল, তারা আবারও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চায়। বিগত দিনে তাদের করা তামাসার নির্বাচনের বিচার করতে হবে। এরপর জনগণ সিদ্ধান্ত নেবেন।
জায়ামাত মানবিক দেশ গড়তে চাই উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন, প্রতিদিন অন্য সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে গুম খুন চাঁদাবাজি ধর্ষণসহ নানান অভিযোগ প্রকাশ হচ্ছে। কিন্তু জামায়াতে ইমলামীর ২ কোটি ৪২ লাখ রেজিস্ট্রার্ড কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে একটিও অভিযোগ আসেনি। আগামী দিনেও আসবে না, ইনশাআল্লাহ। আগামী দিনে আমরা একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই, যে বাংলাদেশে কোনো বৈষম্য থাকবে না।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা আবুজার গিফারীর সভাপতিত্বে রুকন সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য সাবেক পৌর মেয়র মো. নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী মহানগরী আমির ড. মাওলানা কেরামত আলী, সাবেক সংসদ সদস্য লতিফুর রহমানসহ অন্যরা।