রংপুরে আ.লীগ নেতা হত্যা: চার শতাধিক ছাত্র-জনতার নামে মামলা

প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:৪৭ | অনলাইন সংস্করণ

  রংপুর ব্যুরো

রংপুরে আওয়ামী লীগ নেতা হারাধন রায় ও তার সঙ্গী সবুজ নিহতের ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেয়া ছাত্র-জনতার ৪০০-৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করার প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের পতনে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠনটির নেতারা।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টায় রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার সামনে করা এক সমাবেশ থেকে এ আল্টিমেটাম দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ আখতার। এ সময় সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা অভিযোগ করেন, গত ৪ আগস্ট রংপুরে সরকার পতনের দাবিতে বৈষম্যবিরোধীদের আন্দোলন চলাকালে রংপুর নগরীর সিটি বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র আর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে গুলি চালান। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে মহানগর আওয়ামী লীগের পশুরাম থানার সভাপতি হারাধন রায় ও তার সঙ্গী সবুজ নিহত হন। ঘটনার আড়াই মাস পর গোপনে নিহত আওয়ামী লীগ নেতা হারাধন রায়ের স্ত্রী কনিকা রানী বাদী হয়ে আন্দোলনকারী ৪০০-৫০০ জনকে অজ্ঞাত হিসেবে মামলা করেছেন।

নাহিদ আখতার বলেন, ওই আন্দোলনে আমরা সবাই অংশ নিয়েছিলাম। তাহলে আমরাও আসামি। আমি নিজেই পুলিশের কাছে যাবো, বলবো আমাকে গ্রেফতার করেন। পুলিশ প্রশাসন কী শুরু করেছে? আমরা এটা বরদাশত করবো না।

তিনি বলেন, রংপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদসহ আট জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক। অনেকে চোখ হারিয়েছেন, চির দিনের জন্য পঙ্গু হয়ে গেছেন। এখনও হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। এসব ঘটনার মামলার আসামি যারা- তাদের এখনও গ্রেফতার করেনি পুলিশ। আমরা বার বার বলেছি, আপনারা দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না- দায়িত্ব ছাত্রদের হাতে ছেড়ে দেন। আমরা শেখ হাসিনাকে নামাতে পেরেছি- ওনাদেরকেও নামাতে সময় লাগবে না।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিপত্র জারি করে বলেছে, ১৫ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত ঘটনার বিষয়ে কোনো মামলা গ্রহণ বা কোন পদক্ষেপ নেয়া যাবে না। তারপরও রংপুরের পুলিশ প্রশাসন কেন মামলা নিলো? আমরা দায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের শাস্তি চাই।

রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান জানান, হারাধন রায় হত্যার ঘটনায় গত ৭ অক্টোবর একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে কোতয়ালী থানায়। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদ্বয়কে আসামি করা হয়েছে। মামলাটির তদন্ত চলছে।