পাবনায় প্রধান শিক্ষকের অফিস রুম থেকে যৌনকর্মের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। ঐ প্রধান শিক্ষককে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বেলা ১২ টার দিকে শহরের টাউন গার্লস হাই স্কুলের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে গত সোমবার ((২১ অক্টোবর) প্রধান শিক্ষকের অফিস রুমের তালা ভেঙে যৌন উত্তেজক সিরাপ, কনডম, জেল, মদসহ অনৈতিক কাজের বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, পাবনা শহরের টাউন গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রবিউল করিম ফিরোজের অফিস কক্ষের আলমারি থেকে যৌন উত্তেজক সিরাপ, কনডম, মদসহ যাবতীয় অনৈতিক কাজের জিনিসপত্র উদ্ধার করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এ ঘটনায় প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
মঙ্গলবার স্কুলের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ফিরোজ স্যার অনেক মেয়ের সাথেই খারাপ কাজ করেছে। অনেক মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভয়ভীতি দেখিয়ে খারাপ কাজ করার পরও তার পক্ষে লিখিত স্বাক্ষ্য দিতে বাধ্য করেছে। অনেক মেয়ে স্কুল ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। অনেকের পরিবারকে চাপ দিয়ে অল্প বয়সেই বিয়ে দিতে বাধ্য করেছেন।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলেন, প্রধান শিক্ষক রবিউল করিম ফিরোজ মাষ্টারের অপকর্মের ঘটনায় গা শিউরে উঠে। প্রধান শিক্ষকের লুচ্চামির জন্য অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে স্কুলে শিক্ষার্থীর ঘাটতি হয়েছে।
তারা আরো বলেন, রবিউল করিম ফিরোজ আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে ২০১১ সালের ১৩ আগষ্ট টাউন গার্লস হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক রবিউল করিম ফিরোজের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে এ তিনি বিষয়ে বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিরি সভাপতি ও পাবনার অতিরিক্ত জেলা মেজিষ্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, যৌন নিপীড়ন ও নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় প্রধান শিক্ষক রবিউল করিম ফিরোজকে সাময়িক বহিষ্কার এবং একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দিলেই পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
