ঢাকা ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

উখিয়ায় আমন ধানের বাম্পার ফলনের স্বপ্ন বুনছেন কৃষক

উখিয়ায় আমন ধানের বাম্পার ফলনের স্বপ্ন বুনছেন কৃষক

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় স্বপ্ন বুনছেন কৃষক। প্রতি বছর আমন ধান চাষের মাধ্যমে এ উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্তের মাধ্যমে বড় ধরনের ভুমিকা রেখে আসছে বরাবরই।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের আমন ধানের ক্ষেতগুলো সবুজ সবুজে ভরে উঠেছে। বিস্তীর্ণ এলাকাগুলোতে আমন ধানের চারা বাতাসে দোল খাচ্ছে, দেখে মনে হয় সবুজ বিছানা। এই অপরুপ সৌন্দর্য দেখে যেন চোখ জুড়িয়ে যায়। আর ক্ষেতগুলোকে নিয়ে কৃষকের রঙ্গিন স্বপ্ন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমন ধানের ফলন ভালো হবে বলে স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে উপজেলার ৫ ইউনিয়নে ৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বছর রোপা আমন ধান চাষে অর্জিত হয়েছে ৯ হাজার ৬৮০ হেক্টর জমি। যার মধ্যে পাচিং বসানো হয়েছে ৭ হাজার ৩০০টি।

বিষয়ে উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের সিকদার গ্রামের কৃষক সিরাজের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ভাদ্র মাসের ভিতরেই জমিতে রোপণ এর কাজ শেষে হয়েছে এবং জমিতে আগাছা ও কীটনাশক, সার প্রয়োগের কাজও শেষ হয়েছে এখন শুধু ধানের তোর বেড় হওয়ার অপেক্ষায় আছি। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর সর্বোচ্চ ফলনের আশাবাদী।

রত্নাপালং ইউনিয়নের রুহুল্লারডেবা গ্রামের কৃষক ভুট্টো জানান, এ বছর বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই বৃষ্টি হ‌ওয়ার ফলে ধানের চারার ভালো ফলন হয়েছে। তাই আশা করা যায় বাকী সময়ে যদি কোনো দুর্যোগ না হয় ভালভাবে ধান তুলতে পারলে লাভবান হতে পারি৷

রত্নাপালং ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ জানান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন এবং কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বেনজির ইকবালের পরামর্শক্রমে প্রতিটি কৃষকের বাড়িতে গিয়ে ধানের খোঁজখবর রেখেছি৷ মাঠপর্যায়ে ধান চারা রোপণ থেকে শুরু করে সবকিছু কৃষকদের দেখিয়ে দিয়েছি৷ তাদের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হয়েছে৷

উখিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন জানান, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা উখিয়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বছর রোপা আমন ধান চাষে অর্জিত হয়েছে ৯ হাজার ৬৮০ হেক্টর জমি। যার মধ্যে পাচিং বসানো হয়েছে ৭ হাজার ৩০০টি।

তিনি আরও জানান, কৃষকদের আমনধান চাষে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন সময় কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও সরকারিভাবে প্রণোদণা দেয়া হয়েছে। এই উপজেলার বেশির ভাগ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। এই এলাকার জমি আমন চাষের জন্য উপযুক্ত। উপজেলা কৃষি বিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মীরা কৃষকদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ধান ক্ষেতের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

রোহিঙ্গা,কক্সবাজার,ধান চাষ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত