৭ দফা দাবিতে রংপুরের শ্যামপুরে আখচাষী সমাবেশ.

প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ২১:৩৩ | অনলাইন সংস্করণ

  রংপুর ব্যুরো

রংপুরের শ্যামপুর চিনিকল সহ বন্ধ হওয়া সব চিনিকল চালুর দাবিতে বদরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুরে আখচাষী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে  (২৪/১০/২০২৪ ) বাংলাদেশ কৃষক সমিতি রংপুর জেলা কমিটির উদ্যোগে শ্যামপুর হাট ফুটবল খেলার মাঠে এই সমবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কৃষক সমিতি গোপালপুর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি কার্তিক চন্দ্র শীল এর সভাপতিত্বে এবং শামছুল আলমের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেনবক্তব্য রাখবেন -বাংলাদেশ কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড শাহাদত হোসেন,বাংলাদেশ কৃষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক, কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, বন্ধ চিনিকল চালুকরণ টাস্কফোর্স কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ ক্বাফী রতন,বন্ধ চিনিকল চালুকরণ  টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য, অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা, কৃষক সমিতি রংপুর জেলা কমিটির সভাপতি, অধ্যাপক আমজাদ সরকার,সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন,  বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি রংপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড কাফি সরকার, কৃষক সমিতি জেলা কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষক সমিতি,শ্যামপুর শাখা কমিটির সম্পাদক মঞ্জিল হোসেন,কৃষকনেতা ফরহাদ হোসেন,কৃষকনেতা শামসুল আলম সহ প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তৃতায়, কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কমরেড শাহাদাত হোসেন বলেন, বিগত সরকারের দুর্নীতি আর লুটপাট এর ফসল হলো দেশের সমস্ত চিনিকল বন্ধ হয়ে যাওয়া। চিনিকল বন্ধের সাথে সাথে হাজার শ্রমিক বেকার জীবন ধারণ করেছে। তারা আজ অসহায় অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। দ্রব্যমুল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতির কারনে তারা দুস্থের মতো তাদের সংসার জীবন পরিচালনা করছে। তাই অবিলম্বে শ্যামপুর চিনিকল সহ বন্ধ হয়ে যাওয়া সকল কলকারখানা চালু করে শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা করতে হবে।

কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেন,বর্তমানে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নাজুক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সিন্ডিকেট ব্যাবসায়ীদের কাছে সাধারণ কৃষক জিম্মি হয়ে পরেছে। তারা ফসলের লাভজনক মুল্য পাচ্ছে না। কৃষি উৎপাদন উপকরণ এর দাম বেশি হলেও কৃষকরা ফসলের ন্যায্যমুল্য পাচ্ছে না।

সমাবেশে, আব্দুল্লাহ ক্বাফী রতন বলেন, আমাদের দেশ আজ এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়েই যাচ্ছে। একদিকে কোনো নির্বাচিত সরকার নেই অপরদিকে দুর্নীতি,লুটপাট ও দ্রব্যমুল্যের উর্ধ্বগতি জনগণের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। কলকারখানা বন্ধ করে হাজারো শ্রমিককে বেকার বসিয়ে রাখা হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে বেকারত্বের সংখ্যাও বেড়েই চলেছে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যেই কল কারখানা চালু না করলে জনগণকে করুণ পরিস্থিতির  সামিল হতে হবে।

এছাড়াও সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা কৃষক সমিতির সাত দফা দাবি দ্রুত মেনে নেয়ার আহ্বান জানান।