টাঙ্গাইলের সখীপুরে পরকীয়ায় বাধা হওয়ায় রওশন আরা বেগম (৫৫) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। কৌশলে কোমল পানীয়ের সঙ্গে বিষ খাওয়ানোর চার দিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোররাতে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়।
এদিকে স্ত্রীর মৃত্যু খবর পেয়ে পালিয়েছেন অভিযুক্ত স্বামী। গৃহবধূ রওশন আরা বেগম উপজেলার বড়চওনা ইউনিয়নের দাঁড়িপাকা গ্রামের ঈমান আলীর মেয়ে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রায় ৩৫ বছর আগে উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের শ্রীপুর মধ্যপাড়া গ্রামের জাফর আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে বিয়ে হয়
রওশন আরা বেগমের। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে। এদিকে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন জাহাঙ্গীর। এতে বাধা হয়ে দাঁড়ান স্ত্রী রওশন আরা।
দুইপুত্র মো, রনি আহমেদ ও রুবেল হোসেন বলেন, বিভিন্ন সময় মাকে বাবা শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত এর প্রতিবাদ করলে আমাদের ওপরও চড়াও হতো বাবা।
তারা আরও জানায়, গত সোমবার মাকে বাবা ব্যাপক মারপিট করে সজ্ঞাহীন করে ফেলে। তারপর জোর করে তরল কীটনাশক খাইয়ে দেন। বিষপান করেছে বলে সবাইকে জানায়। আত্মহত্যা করেছে বলে চালিয়ে দেন। এটি নিখুঁত পরিকল্পনা জানিয়ে তারা মা হত্যার বিচারে বাবার ফাঁসি দাবি করেন। প্রতিবেশীরাও একই মন্তব্য করেছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মেজবাহ উদ্দিন বলেন, মাঝে মধ্যে ওই পরিবারের মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকতো। শুনেছি গত সোমবার বিষপান করেছে। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোররাতে মারা যান। এর আগেও ওই স্বামীর বিরুদ্ধে নারীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে। তিনি গোপনে সে দুইটি বিয়েও করেছেন। এর মধ্যে রওশন আরা নিরুপায় হয়ে সংসার করে আসছিলেন বলে স্থানীয়ভাবে জানা গেছে।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে ঘটনার সাথে কেউ জড়িত থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।