পাবনার ঈশ্বরদীতে মাঠ জুড়ে শুধু সবুজ আর সবুজ ধানের ক্ষেত। যে দিকেই চোখ যায় শুধু সবুজের সমারোহ। ফসলের মাঠ যেন সবুজ চাদরে ঢাকা। চারিদিকে যেন এক অপরুপ দৃশ্য। মাঠে মাঠে হাওয়ায় দুলছে আমন ধানের সবুজ পাতা, শীষ আর কৃষকের মন। আর কিছুদিনের মধ্যেই সোনালী ধানের শীষে ঝলমল করে ভরে উঠবে কৃষকের শূন্য গোলা।
আমন ধানের ক্ষেতগুলোকে নিয়ে কৃষকের রঙ্গিন স্বপ্ন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমন ধানের ফলন ভালো হবে বলে স্থানীয় কৃষক ও কৃষি বিভাগের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
ঈশ্বরদী উপজেলার কৃষি অফিসের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৩ হাজার ৬ শত ৬০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে। ধানের চারা লাগানোর সময় শুধু সেচ দিয়ে লাগাতে হয়েছে। তারপর আশ্বিন মাস জিড়ে কয়েক দফা বৃষ্টিতে ধানের জমিগুলোতে পর্য়াপ্ত পানি থাকে। নতুন করে পানি সেচ দিতে হয়নি। এতে ধান আবাদে কৃষকদের খরচও কম হয়।
এবার এ উপজেলা ব্রি ৮৭, ব্রি-৪৯, ব্রি৫১-৫২ব্রি-৯৫, ব্রি-১০৩, বিনা -১৭, ও বিনা-৭, জাতের আমন ধানসহ বিভিন্ন জাতের আমন ধান চাষ হয়েছে। বর্তমানে আমন ধানের ক্ষেতগুলোতে ধানের শীষ বের হয়েছে। আবাব কতগুলো ধানের ক্ষেতে ধানের শীষে রং ধরেছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ধান কাটা যাবে।
কৃষক ইসলাম,আন্টু, কায়সার, মিঠু, তোরাপ আলীসহ অনেকে জানান, এ বছর বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই আশানুরূপ বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে ধান আবাদে চারা লাগানো সময় ছাড়া আর পানি সেচ দিতে না হওয়ায় খরচ কম হয়েছে। ফলনও ভালো হবে।
উপজেলার আড়মবাড়িয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল আলিম বলেন, উপজেলা কৃষি বিভাগের নির্দেশনায় আমরা মাঠপর্যায়ে আমন ধানের চারা রোপণ থেকেই কৃষককে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিচ্ছি। আশ্বিন মাস জুড়ে বৃষ্টি হওয়ায় ধানের গাছ ও ফসলের জন্য ভালো হয়েছে।
ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মিতা সরকার বলেন, কৃষি বিভিাগের মাঠপর্যায়ের কর্মীরা কৃষকদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে পরামর্শ দিচ্ছেন। কৃষকদের ধানের ক্ষেতের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।