কক্সবাজারে বঙ্গোপসাগরে গোসল করার সময় পানিতে ডুবে মাহামুদ (১৬) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মাহামুদ (১৬) কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকার উত্তর দিকপাড়ার দিদারুল আলমের ছেলে।
সৈকতে দায়িত্বরত বিচকর্মীর সহকারী সুপারভাইজার বেলাল হোসেন বলেন, মাহমুদসহ ছয় জন সুগন্ধা পয়েন্টে নেমে সমুদ্রে গোসল করছিল। এসময় মাহামুদ অসুস্থ হয়ে পানিতে পড়ে যায়। লাইফগার্ড কর্মীরা সাগরে নেমে তাকে উদ্ধার করে। পরে তাকে জেলা প্রশাসনের অ্যাম্বুলেন্সে করে দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মাহামুদকে মৃত ঘোষণা করেন।
এনিয়ে চলতি মাসে এ পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে ডুবে মারা গেছে ৫ জন। এরআগে গত ২১ অক্টোবর কক্সবাজার বঙ্গোপসাগরে জলক্রীড়া করার সময় জেটস্কি থেকে ছিটকে পড়ে মোহাম্মদ আল মামুন নামের এক পর্যটক মারা যান। তিনি বরিশাল উজিরপুর এর বাসিন্দা। এরআগে গত ২০ অক্টোবর শহরের কলাতলীস্থ ডিভাইন হোটেল সংলগ্ন সমুদ্রে মো. সায়মন (২০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়। এরআগে গত ১৩ অক্টোবর বিকালে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে প্রান্ত দেব প্রবাল (১৫) নামের এক শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়ে যায়। পরদিন ১৪ অক্টোবর ভোর রাত ৩টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কবিতা চত্বর পয়েন্টে তার মৃতদেহ ভেসে ওঠে। নিহত প্রান্ত দেব প্রবাল কক্সবাজার ঈদগাঁও এলাকার পলাশ দেবের ছেলে এবং ঈদগাঁও কেজি স্কুলের ৯ম শ্রেণির ছাত্র।
এর আগে, গত ৭ অক্টোবর সকালে কক্সবাজার শহরের শৈবাল পয়েন্ট বঙ্গোপসাগরে গোসল করার সময় পানিতে ডুবে আজমাইনুল হক (১৩) নামের এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়। মৃত আজমাইনুল হক কক্সবাজার ভোকেশনাল ইন্সটিটিউটের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র এবং শহরের ৭ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়ার করিমুল হকের ছেলে।এছাড়া গত মাসে (সেপ্টেম্বর) তিনজন, আগস্টে দুইজন এবং জুলাই ও জুন মাসে একজন করে মারা যায়।