চাঁদপুরে চলছে রমরমা ইলিশ বিক্রির উৎসব

প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:৩৬ | অনলাইন সংস্করণ

চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলায় গাজীপুরের মনিপুর চরে চলছে রমরমা ইলিশ বিক্রির উৎসব। শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে গাজীপুর ইউপির ৪নং ওয়ার্ডের মনিপুর চরে ভাসমান হাট বসিয়ে ইলিশ বিক্রির এই রমরমা বাণিজ্য দেখা যায়।

অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রত্যেকদিন নিজস্ব ট্রহলটিম ও শক্তিশালী সিন্ডিকেটের নজরদারির মাধ্যমে চলে ইলিশ বেচাকেনা। এই সিন্ডিকেটের নেপথ্যে রয়েছেন মনিপুর এলাকার সিরাজ গাজীর ছেলে মো. বিল্লাল গাজী, রহমান গাজীর ছেলে মো. সবুজ গাজী, আব্দুল কাদের মিজির ছেলে মো. নুরু মিজি, মো. শহিদ মিজির ছেলে মো. তাজল মাঝি, মানু গাজীর ছেলে মো. মাসুদ গাজীসহ অন্যরা।এরা নিজেরাই মাছের ভাসমান আড়ৎ বসিয়ে ডাকের মাধ্যমে ইলিশ বিক্রি করছে। এমনকি অসাধু জেলেদের ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকার লোভে ফেলে ইলিশ নিধনে নদীতে নামতে নিষেধাজ্ঞার শুরু দিন থেকেই বাধ্য করছে।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন সকাল ৭ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত আর সন্ধ্যার পর থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত ইলিশ বেচা কেনা হরদম চলছে। মনিপুর চরের মজিব কেল্লায় যাওয়ার প্রধান ফটক আশ্রায়ন প্রকল্পের সামনে নদীর পার এবং টিলায় দিনে কয়েক লাখ টাকার ইলিশ বেচাকেনা চলছে। যা অনেকটা দেখেও দেখেনা নীলকমল নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা।

অন্যদিকে রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার অভিযোগ নীলকমল নৌ পুলিশ ফাঁড়ির স্পীডবোট চালক জয়নালের বিরুদ্ধে। নীলকমল ফাঁড়ির এস আই আরিফের যোগসাজশে জয়নাল নদীতে নৌকা নামাচ্ছে। চরভৈরবী ইউপির ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার বলেন, জয়নাল নৌ পুলিশের আরিফের সাথে সুসম্পর্ক রেখে স্পীডবোট চালানোর প্রভাব দেখিয়ে জয়নাল মোট ১০টি জেলে নৌকা নদীতে নামিয়ে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার ইলিশ বেচাকেনা করছে। আমরা হাতেনাতে জয়নালের নৌকা ও ইলিশ ধরেছি এবং বিষয়টি নৌ পুলিশ ও মৎস্য কর্মকর্তাকে অবগত করেছি। যদি এই হয় মা ইলিশের অভিযানের নমুনা! তাহলে যেসব জেলেরা নৌকা নিয়ে নদীতে যাচ্ছে না এরপর থেকে তারাও নদীতে নামলে আমাদের কিছুই করার থাকবে না।

অভিযোগ আড়াল করার চেষ্টা করে উল্টো জয়নালের পক্ষ নিয়ে নীল কমল নৌ পুলিশের এস আই আরিফ হোসেন বলেন, জয়নাল আগে পরে এমন করে থাকলেও এখন করেনা। আর স্থানীয় বোট চালক ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে ওর সমস্যা থাকায় ওরা বানোয়াট কথাবার্তা বলছে। তাছাড়া জয়নাল আমাকে অনেক তথ্য দেয় তাই ওকে কাজে রেখেছি।

এ বিষয়ে নীলকমল নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মোজাম্মেল হক বলেন, আমি নতুন মাত্র যোগদান করেছি। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তাকে ছাটাই করা হবে। আমি কোন অভিযুক্তকে নিয়ে কাজ করতে এখানে আসিনি। আমরা মা ইলিশের অভিযানে এখন পর্যন্ত ৪টি নিয়মিত মামলা,৭টি নৌকা,৮ লাখ মিটার কারেন্ট জাল,১২ জন আসামী এবং ৫টি মোবাইল কোর্টে অংশ নিয়ে ৮০ কেজি ইলিশ এতিম দুঃস্থদের মাঝে বিতরণ করেছি।