টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের সুরীরচালা আব্দুল হামিদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দিনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, প্রতারণা ও স্বজনপ্রীতির ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে। এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিকার ও অপসারণ চেয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক-এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসার ও দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগও করেছেন। এরই অংশ হিসেবে রোববার বিকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের সড়কে ওই প্রধান শিক্ষক ও তার স্ত্রী একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হাজেরা আক্তারের অপসারণ দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক-এলাকাবাসী মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভা এবং প্রধান শিক্ষক ও তার স্ত্রীর কুশপুতুল (কুশপুত্তলিকা) দাহ করা হয়েছে। তাদের দুর্নীতির অপকর্মে ভুক্তভোগীরা ফুঁসে উঠেছে।
প্রতিবাদ সভায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য ইন্দ্র মোহন বর্মণের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে ইউপি সদস্য রুহুল আমীন, অভিভাবক মঞ্জুর মোর্শেদ, সহকারী প্রধান শিক্ষক নূরুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক মনসুর আহমেদ, গোলাম মোস্তফা, মো. ইউসুফ, শিক্ষার্থী শাওন, শিমু, আইরিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, কফিল উদ্দিন ২০১৩ প্রধান শিক্ষক হয়ে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাব খাটিয়ে বিদ্যালয়টি একক নিয়ন্ত্রণে চালাতেন। কোনো শিক্ষকদের আয় ব্যয়ের হিসেব দেখাতেন না। বিদ্যালয়ে ৩৯ (উনচল্লিশ) একর জমি রয়েছে। প্রতিবছর ৭/৮ লাখ টাকা ওই জমি হতে আয় আসে। এছাড়াও বিদ্যালয়ের আঙ্গিনাতে বড় বড় ২০০ গাছ বিক্রি করা টাকা, টিউশন ফির ১০ লাখ টাকা, বিদ্যালয়ের অফিস কার্যালয় নির্মাণে ১০ লাখ করে ২২ লাখ দেখানোসহ নানা আর্থিক অনিয়ম রয়েছে তার নামে।
অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের ক্ষমতা খাটিয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে তার স্ত্রীকে নিয়োগ দিয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে ব্যাপক নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন। নির্বাচিত ম্যানেজিং কমিটি বাতিল করে পছন্দমতো এডহক কমিটি দিয়ে তিনি বিদ্যালয় চালাতেন। একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে ওই প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের কয়েক কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন। এতদিন দলীয় প্রভাবের কারণে মুখ খুলতে না পারলেও এখন
ভুক্তভোগীরা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করে তাকে ও তার স্ত্রীকে দ্রুত অপসারণ চান। এ ব্যাপারে তার বক্তব্য জানতে প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দিনকে ফোন করা হলে তিনি ছুটিতে আছেন জানিয়ে মুঠোফোন কেটে দেন।