বিষ্ফোরক ও নাশকতার মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান ডা. মো. আবু সাঈদকে আটক করেছে র্যাব। গতকাল রবিবার দুপুরে নিজের ওই প্রতিষ্ঠান থেকে বের হওয়ার সময় র্যাব-৯ এর সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে সদর থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করে। অভিযানের সময় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরাও উপস্থিতি ছিলেন।
ডা. আবু সাঈদ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। ২৬ জুন সর্বশেষ ঘোষিত জেলা কমিটিতে তিনি এ পদ লাভ করেন। আবু সাঈদ খেলাঘরের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা শাখার সভাপতি। তিনি স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ও বিএম’র সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি তিনি সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানাযায়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিষ্ফোরণ ও নাশকতার দায়ে গত ২৫ অক্টোবর সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন শহরের শেরপুর এলাকার বাসিন্দা আনিছুর রহমান। মামলায় জেলার সাবেক দুইমন্ত্রীসহ ২৪০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০০/৩০০, জনকে আসামী করা হয়। সেই মামলায় ২৩ নম্বর আসামী ডাক্তার মো. আবু সাঈদ।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ৪ আগস্ট সকালে সরকার পতনের একদফা দাবী ছাত্র-জনতা ও সাধারণ মানুষ ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে শহরের দিকে যাওয়ার সময় ফ্যাসিস্ট সরকারের ক্যাডার বাহিনী বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র, ককটেল, হাত বোমাসহ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে হামলা করে ছাত্র-ছাত্রীদের আহত করে। এ সময় ছাত্র-জনতাসহ এলাকার সাধারণ মানুষ তাতে বাধা দিলে আসামীরা শত শত ককটেল ও হাত বোমার বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে। এ সময় মোটর সাইকেল, সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সার ক্ষতিসাধন করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে। ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। সন্ধ্যায় তাকে আদালতে পাঠিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে বিজ্ঞ আদালত পরের দিন সোমবার শুনানির দিন ধার্য্য করে জেলা কারাগারে প্রেরণ করেন। অন্য মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে অস্থায়ী জামিনে রয়েছেন।