রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে নবনিযুক্ত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সুমন কান্তি বড়–য়া যোগদান করেছেন।
মঙ্গলবার সকালে প্রফেসর ড. সুমন কান্তি বড়–য়া রবির প্রশাসনিক ভবনে যোগদান করেন। এরপর তিনি রবির ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর ড. এস. এম. হাসান তালুকদারের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ সময় ভিসি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারে একজন নতুন সদস্য যুক্ত হলেন। আমরা তাকে শুভেচ্ছা জানাই। সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে রবিকে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। দুপুরের দিকে ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর শহিদ ও ২০২৪’র জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নিহত সকল বীর শহিদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রবির অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এ স্থাপিত শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সুমন কান্তি বড়–য়া। এরপর শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল বীর শহিদ ও ২০২৪ এর জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নিহত সকল বীর শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দ্রæত সুস্থতা কামনা করেন। সেইসাথে তিনি জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের স্পিড ধরে রাখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার প্রতি আহ্বান জানান এবং রবিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
এ সময় রবির ট্রেজারার প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমদ, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব), বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ, প্রক্টরিয়াল বডি'র সদস্য, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২৭ অক্টোবর ২০২৪ মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে রবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. সুমন কান্তি বড়–য়াকে নিয়োগ দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। প্রফেসর ড. সুমন কান্তি বড়–য়া ঢাবি থেকে বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিষয়ে ১৯৮৮ সালে স্নাতক, ১৯৮৯ সালে স্নাতকোত্তর এবং ২০০৫ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
কর্মজীবনে তিনি ঢাবির পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর। তিনি পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান এবং সেন্টার ফর বুদ্ধিস্ট হেরিটেজ এন্ড কালচারের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রফেসর ড. সুমন কান্তি বড়–য়া ২০০০ সালে ঢাবি থেকে 'বেস্ট অ্যাকাডেমিক আর্টিকেল লেখক' হিসেবে ডিন’স অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।
