বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আসলো ডিমের আরও একটি বড় চালান
প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৪:৫৩ | অনলাইন সংস্করণ
বেনাপোল প্রতিনিধি
বেনাপোল স্থলবন্দরে ৫ শতাংশ শুল্কায়নে ভারত থেকে আমদানি করা ডিমের আরও একটি চালান এসেছে বেনাপোল বন্দরে। ডিম আমদানিতে এখন থেকে ২৫ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশে শুল্কায়ন করা হচ্ছে। এতে ডিমের দাম কমবে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই শুল্ক সুবিধা পাবেন তারা।
মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে আসা ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০টি ডিমের এ চালান আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইড্রোল্যান্ড সল্যুশন আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) কাস্টমস থেকে ছাড় করার কাজ করবে বলে জানা গেছে।
প্রতিটি ডিম আগে ১ টাকা ৯৬ পয়সা শুল্কায়ন করা হতো। শুল্ক কমানোয় এখন থেকে প্রতিটি ডিমে মাত্র ৭৬ পয়সা শুল্ককর পরিশোধ করতে হবে। এই শুল্কায়নে আমদানি করা নতুন চালানের ডিম বাজারে ৯ টাকার মধ্যে বিক্রি করার কথা।
কাস্টমস হাউস সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচ চালানে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১১ লাখ ৫৯ হাজার ২০০টি ডিম আমদানি হয়েছে। এর আগে গত বছরের ৫ নভেম্বর আমদানিকারক ঢাকার রামপুরার বিডিএস করপোরেশন ৬১ হাজার ৯৫০টি ডিম আমদানি করে। এর বাইরে আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সরকারের পক্ষ থেকে আমদানির অনুমতি দেওয়া হলেও সেসব প্রতিষ্ঠান এখনও ডিম আমদানি করেনি।
ডিমের সরবরাহ বৃদ্ধি ও বাজার দর কমাতে গত ১৭ অক্টোবর শুল্ক কমানো সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আদেশটি বেনাপোল কাস্টমসে আসে গত ২০ অক্টোবর। আদেশ পাওয়ার পর ২১ অক্টোবর একটি চালানের ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০টি ডিম কম শুল্কে মাত্র ৭৬ পয়সায় শুল্কায়ন করা হয়। গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ অক্টোবর ডিমের পাঁচটি চালান আসে বেনাপোল বন্দরে। আর এসব চালান কাস্টমস থেকে ছাড় করতে কাজ করছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স রাতুল ইন্টারন্যাশনাল।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইড্রোল্যান্ড সল্যুশনের স্বত্বাধিকারীর প্রতিনিধি ইকরামুল হাসান সজীব বলেন, ‘নতুন নির্ধারণ করা শুল্কে ডিম খালাস নিচ্ছি। গত ২১ অক্টোবর ৫ শতাংশ শুল্কের ডিম খালাস শুরু হয়। এখন দাম আগের চেয়ে কমবে।’
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী জানান, কম শুল্কে গত ২১ অক্টোবর ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০টি ডিম খালাস দেওয়া হয়েছিল এবং আজ ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০টি খালাস দেওয়া হচ্ছে। আমদানিকারককে ডিমের চালান খালাসে সব ধরনের সহযোগিতা বেনাপোল কাস্টমস হাউসও বন্দর কর্তৃপক্ষ করছে।