কক্সবাজার ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখার সাবেক অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা দেবতোষ চক্রবর্তীর আড়াই কোটি টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দূর্নীতি দমন কমিশন কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে কক্সবাজার স্পেশাল জজ মুন্সী আবদুল মজিদ বুধবার (৩০ অক্টোবর) এই আদেশ দেন।
আদালতের আদেশে চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানা এলাকায় বাকলিয়া মৌজায় কল্পলোক আবাসিক এলাকায় ২ দশমিক ৭০ শতক জমিতে নির্মিত ৬ তলা বিশিষ্ট বিল্ডিংটি জমিসহ ক্রোক করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অভিযুক্ত দেবতোষ চক্রবর্তী চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ঢেমশা এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা।
সূত্রমতে, দেবতোষ চক্রবর্তী কক্সবাজার এলএ শাখার অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা থাকাকালিন ঘুষ গ্রহণ ও অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
এ ব্যাপারে অনুসন্ধান করছেন দুর্নীতি দমন কমিশন কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হুমায়ুন বিন আহমদ। তিনি আদালতকে জানান, ভূমি কর্মকর্তা দেবতোষ চক্রবর্তী দুদকের অনুসন্ধান শুরু করার পরপরই অগ্রণী ব্যাংকের লালদীঘি ইস্ট কর্পোরেট শাখা থেকে ৪৪ লাখ টাকা ও গত ৩১ জুলাই ৫ লাখ টাকা উত্তোলন করেন।
তিনি জানান, দেবতোষ চক্রবর্তীর মালিকানাধীন ২.৭০ কাঠা ভিটি জমি ও তাতে নির্মিত ৬ তলা ভবনটি অন্যত্র বিক্রি করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আদালতে সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করা হয়
আদালতে মামলাটিতে দুদকের পক্ষে ছিলেন দুদকের পিপি এডভোকেট সিরাজ উল্লাহ।