নরসিংদীতে ভারতীয় প্রসাধনী বোঝাই কাভার্ড ভ্যানসহ আটক ২
প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:৪৬ | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদী প্রতিনিধি
নরসিংদীর শিবপুরে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা অবৈধ ভারতীয় প্রসাধনী ও বিভিন্ন পন্য বোঝাই একটি কাভার্ড ভ্যান জব্দ করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বুধবার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিবপুর উপজেলার ঘাসিদিয়া এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় কার্ভাড ভ্যানের চালক জসিম (৪৫) ও ভাড়ার শর্তে কার্ভাড ভ্যান মালিক মুকুল মিয়া (৫৭) নামে ২ জনকে আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নরসিংদী পুলিশ সুপার কার্যলয়ে সংবাদ সম্মেলনে ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আটককৃত চালক জসিম উদ্দিন বরগুনা সদর উপজেলার কাঠালতলী গ্রামের ইদ্রিস খানের ছেলে এবং কার্ভাড ভ্যান মালিক মুকুল মিয়া বাগেরহাটেরে শরণখোলা উপজেলার তাবালখালী গ্রামের আবদুল হালিমের ছেলে।
নরসিংদী ডিবি পুলিশের ওসি বলেন, গোপন সূত্রে খবর পাই সীমান্ত এলাকা থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা অবৈধ ভারতীয় প্রসাধনী ও বিভিন্ন পন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নান স্যারের নির্দেশে আমরা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিবপুর উপজেলার ঘাসিরদিয়া এলাকার শহীদ মিনার নামক স্থানে অবস্থান নেই। এ সময় ঢাকাগামী মাঝারি আকারের একটি কার্ভাড ভ্যানের গতিরোধ করলে এতে থাকা চালক ও অপর ব্যক্তির আচরন সন্দেহজনক মনে হয়। পরে কার্ভাড ভ্যানটির পিছনের ঢালা খুলে ভারতীয় প্রসাধনী সামগ্রী ও বিভিন্ন পন্য পাওয়া যায়।
পরে কার্ভাড ভ্যানসহ চালক ও অপর ব্যক্তিকে আটক করে নরসিংদী ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। সেখানে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে ভিতরে থাকা বিভিন্ন কার্টুন খুলে দেখানো হয়।
ভারতীয় এসব প্রসাধনী সামগ্রী ও পণ্যের কাভার্ড ভ্যানসহ আনুমানিক মূল্য ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা হতে পারে বলে জানান ওসি।
ওসি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানিয়েছে শুল্ক ফাঁকি দেয়া এসব প্রসাধনী ও পন্য সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ এলাকা থেকে ঢাকার চকবাজারে নিয়ে যাচ্ছিল তারা। পারভেজ নামে চকবাজারের একব্যক্তির সঙ্গে মোবাইলে ভাড়ার চুক্তি হয়। সে অনুসারে এসব পন্য শান্তিগজ্ঞ থেকে কার্ভাডভ্যানে বোঝাই করে ঢাকার চকবাজার নিয়ে যাচ্ছে। তবে এসকল প্রসাধনী সামগ্রী ও পন্যের কোন চালান কপি বা রশিদ দেখাতে পারেনি আটককৃত ব্যক্তিরা।
ডিবি (ওসি) বলেন আটককৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার দুটি মোবাইল নাম্বার থেকে এনআইডি বের করে এ চক্রের মূল হোতাকে খুঁজে বের করা হবে। আটককৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা দায়ের করা হবে।