শয্যভান্ডার খ্যাত সিরাজগঞ্জের চলনবিল এলাকায় রবি শয্য চাষাবাদ নিয়ে দূশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষকেরা। এতে রবি শয্য চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার আশংকা রয়েছে। এবার দফায় দফায় প্রবল বর্ষণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের নভেম্বরের প্রথম থেকে ওই বিলাঞ্চলে রবি ফসল চাষাবাদ শুরু করা হয়েছে। বর্তমানে বিলের ১ লাখ ৪৬ হাজার ১০ হেক্টর পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। এ কারণে কৃষকেরা চাষাবাদে এখন দুশ্চিন্তায় পড়েছে। এ মৌসুমে সরিষা, রসুন, পেঁয়াজ, ধনিয়া, কালোজিরাসহ খেসারি, চিনাবাদাম, গম-ভুট্টা ও আলু চাষ করা হয়।
এবার এ অঞ্চলে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯০ হাজার হেক্টর এবং রবিশস্য চাষের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৫৬ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে। স্থানীয়রা কৃষকেরা বলছেন, আগামী ২/৩ সপ্তাহের মধ্যে পানি না সরলে রবিশস্য আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশংকা রয়েছে। চলনবিলের সিরাজগঞ্জের অংশে তাড়াশ, উল্লাপাড়া, রায়গঞ্জ ও শাহজাদপুর উপজেলার পশ্চিম দক্ষিণ অঞ্চলে এ ফসল চাষাবাদ করা হয়। এবার দফায় দফায় প্রবল বর্ষণ হয়েছে এবং নদীতে অবৈধ মাছ শিকারের জন্য পানি প্রবাহ বাঁধাগ্রস্ত করা, যত্রতত্র পুকুর খনন, নদী দখল, কচুরিপানা জমে থাকাসহ নানা কারণে ওই বিলের পানি সহজেই কমছে না।
এ কারণে রবিশস্য মৌসুম শুরু হলেও বিলের বেশিরভাগ অংশ এখানো পানির নিচে রয়েছে। এজন্য এ লাভজনক চাষাবাদ পুরোদমে শুরু করতে পারছি না। এ বিষয়ে জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক আ. জা. মু. আহসান শহীদ সরকার বলেন, চলতি বছরের এখন রবিশস্য চাষের ভরা মৌসুম। ওই বিলের বিভিন্ন স্থানে এখনও পানি থাকায় চাষাবাদ শুরু করতে পারছেনা অনেক কৃষক। তবে দ্রæত পানি নেমে না গেলে এ চাষাবাদে ব্যাহত হতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।