এবি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ও সময়ের আলোচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, ৭১ এর রণাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করেছে। আর জুলাই- আগস্টের গণবিপ্লবে ৬ কোটি নিরস্ত্র ছাত্র-জনতা আবু সাঈদ, মুগ্ধ, ওয়াসিম হয়ে যুদ্ধ করেছে। বৈষম্যের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র সংস্কারে ৬ কোটি তরুণের স্বপ্নকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিতে এবি পার্টি কাজ করছে। কেননা যাদের রক্তের উপর দিয়ে বাংলাদেশের নতুন স্বাধীনতার পারদ তৈরি হয়েছে তাদের সম্মান করা রাষ্ট্রেীয় দায়িত্ব।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাতে কক্সবাজারের হোটেল শৈবালের সাগরিকা রেস্তোরাঁয় স্থানীয় সাংবাদিক ও সুধীজনদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। কক্সবাজার জেলা এবি পার্টি এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। মতবিনিময় সভায় ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা পত্র সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠা। অথচ স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও রাষ্ট্রের মালিক জনগণের হাতে রাষ্ট্রের মালিকানা নেই। এই রাষ্ট্র ধনিক শ্রেণির রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। সংবিধান লংঘন করে রাষ্ট্রের ধনিক শ্রেণী ও এজেন্সি গুলোর জন্য আলাদা সার্ভিস ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এই পাহাড় বৈষম্য ভাংতে হবে।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, দুই হাজার ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত পূণঃ স্বাধীন দেশে রাষ্ট্র সংস্কার অরক্ষিত রেখে সবাই দ্রুত নির্বাচন চায়, ক্ষমতায় যেতে চায়। আগে দল ও রাষ্ট্র সংস্কার করুন, পরে নির্বাচন। সর্বত্র সংস্কার করে আগে রাষ্ট্রের মালিকানা ঠিক করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে রাষ্ট্র সংস্কারে যৌক্তিক সময় না দিলে তাহলে গণবিপ্লবীদের রক্ত বৃথা যাবে।
তিনি বলেন, পতিত হাসিনা, তাঁর পরিবার, দোসর, সরকার ও এস আলমের যাবতীয় দূর্নীতি, লুটপাট, অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। জুলাই -আগস্ট বিপ্লবে নিহতসহ সকল খুন, গুমের দায়ে হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সরকারি এজেন্সি গুলো দৈত্ব্যে পরিণত হয়েছে। তারা রাষ্ট্র সেবার চাইতে ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে মহা-ব্যস্ত। অথচ তারা ফেলানির লাশের নিরাপত্তা দিতে পারে না।কক্সবাজার জেলা এবি পার্টির আহবায়ক এডভোকেট এনামুল হক সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক জাহাঙ্গীর কাশেম, এবি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা এডভোকেট আবদুল্লাহ আল মামুন রানা, ব্যারিস্টার সানি আবদুল হক, সাংবাদিক শামসুল হক শারেক, কক্সবাজার প্রেসক্লাব সভাপতি মমতাজ উদ্দিন বাহারী, শিক্ষক নেতা শফিকুল হক, ছৈয়দ হোসাইন চৌধুরী প্রমূখ। পরে ব্যারিস্টার ফুয়াদ কক্সবাজারে কর্মরত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।