আন্তঃজেলা ডাকাত দলের তিন সদস্য গ্রেপ্তার
প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মেহেরপুর প্রতিনিধি
মেহেরপুরে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গেল২৪ ঘন্টায় চুয়াডাঙ্গা ও রাজবাড়ি জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- ডাকাত দলের সর্দার আলতাফ মন্ডল (৫৩), রমজান আলী (৪৩) ও আসাদুল ইসলাম (৩৪)।
তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক দেশীয় অস্ত্র, ডাকাতিতে ব্যবহৃত পোশাক সহ বিভিন্ন সরাঞ্জম উদ্ধার করা হয়। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারগারে প্রেরণ করা হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানম।
পুলিশ সুপার জানান, গেল ২ নভেম্বর রাত সাড়ে ৩ টার দিকে ডাকাত দলের সর্দার আলতাব হোসেন তার সদস্যদের নিয়ে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক সড়কে গাছ ফেলে ব্যারিকেড দিয়ে ড্রামট্রাক, আলমসাধু, হানিফ পরিবহণ সহ অন্যান্য যানবাহনের গতিরোধ করে। গাড়ির চালক, হেলপার ও সাধারণ যাত্রীদের দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা লুট করে নেয়। এছাড়া ড্রাম ট্রাকের একজন ড্রাইভার এবং একজন হেলপারকে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন ডাকাতের বিরুদ্ধে গাংনী থানার একটি মামলা দায়ের করা হয়। এর কিছুদিন আগেও ডাকাত দলের সদস্যরা দুরপাল্লার পরিবহণের চালকদের জিম্মি করে নগদ অর্থ লুট নেয়। ঘটনার পর থেকেই মামলার মূল রহস্য উৎঘাটনে অভিযানে নামে গাংনী থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা শাখা ও সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল মামলার মূল রহস্য উৎঘাটন করতে সক্ষম হয়।
৫ নভেম্বর জেলা গোয়েন্দা শাখা ও সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের আরো একটি যৌথ অভিযানে ডাকাত দলের সর্দার আলতাফ মন্ডলকে রাজবাড়ি জেলার পাংশা থানার সেনপাড়া কালিতলা বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে নগদ ৭০০ টাকা ও তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটা জব্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় ৮ টি ডাকাতি মামলা ও একটি অস্ত্র মামলা রয়েছে। এরপর ৬ নভেম্বর দলটি অভিযান চালায় চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানার বড়বোয়ালিয়া গ্রামে। পরে ঐ গ্রাম থেকে রমজান ডাকাত ও আসাদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। আসাদুল একটি হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসমী। রমজানের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি মামলা ও একটি চুরির মামলা রয়েছে। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারগারে প্রেরণ করা হয়। আসামীরা আদালতে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, ডাকাতি ও ছিনতাইরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। পাশপাশি টহল জোরদার করা হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট ও লাইটের ব্যবস্থা করতে পারলে অপরাধ অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।