চট্টগ্রামে ১৬ মামলার আসামী গ্রেফতার
প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৪, ২০:১৫ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম ব্যুরো
১৬টি মামলার আসামী মনছুর ডাকাতকে অস্ত্রসহ বরগুনা থেকে গ্রেপ্তার করেছে খুলশী থানা পুলিশ। ডাকাত মনসুর হত্যা, চাঁদাবাজিাহ ও ডাকাতি মামলার আসামী ছিল। গ্রেফতারকৃত ডাকাত মনসুর, নগরীর পাহাড়তলীর দুলালাবাদ এলাকার আবদুল মালেক দারোয়ানের বাড়ির মৃত জমির আহাম্মদের ছেলে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ জানান, কুখ্যাত ডাকাত মনসুরকে গত ২৩ আগস্ট দিবাগত রাতের পাহাড়তলী বাজারের একটি ডিমের আড়তের ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজে দেখতে পাওয়া যায়।
ক্যামেরায় মনসুরের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দৃশ্য ধারণকৃত দৃশ্য দেখতে পায়। পরে ওই ফুটেজে দেখা যায়, ওই ডিমের আড়তে হঠাৎ অস্ত্র নিয়ে ঢুকে পড়েন মনসুর ও তাঁর তিন সহযোগী সন্ত্রাসী। পরে দোকানের ক্যাশ থেকে তাঁরা ৮০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যান। যাওয়ার সময় ছোড়েন ফাঁকা গুলি, যাতে কেউ এগিয়ে আসতে না পারেন। তিনি আরও জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে পুলিশ বরগুনা থেকে সন্ত্রাসী মনসুরকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে। মনসুর পাহাড়তলী থানা-পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও চাঁদাবাজির ১২টি মামলা রয়েছে।
২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল পাহাড়তলী বাজারে একটি ডিমের আড়ত রানা এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক মাসুদ রানাকে খুনের মামলার আসামি এই মনসুর। টাকা লুট করতে বাধা দেওয়ায় তাঁকে খুন করা হয়। এ ঘটনার পর অস্ত্র-গুলিসহ মনসুরকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। পরে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন। বর্তমানে মাসুদ হত্যা মামলাটি বিচারাধীন। জিজ্ঞাসাবাদে মনসুর জানায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় সে ভাড়ায় নিয়োজিত হয়ে ছাত্র-জনতার ওপরে হামলা করেছিল। পুলিশ সূত্র জানা যায়, বিভিন্ন সময় চুরি-ছিনতাই করে অপরাধে জড়ান মনসুর। ধীরে ধীরে এলাকায় ১৫ থেকে ২০ জনের দল গঠন করে শুরু করেন নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। পাহাড়তলীর সরাইপাড়া ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা সাবের আহমদের অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিল মনসুর।