বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ ও প্রফেশনাল মুভমেন্ট অব বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখার আয়োজনে ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে শহরের প্রিমিয়ার টাওয়ারে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ মোবারক হোসেন চৌধুরী সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন মাঝি।
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ হারুনুর রশিদের পরিচালনায় সভায় অনন্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ শোয়ায়েব, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সহ সভাপতি অ্যাড. মনিরা চৌধুরী, বোরহান খান, আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আলম খান মঞ্জু, প্রফেশনাল মুভমেন্ট অব বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক বিল্লাল হোসেন বেপারী পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক মজিবুর রহমান প্রমুখ।
বক্তরা বলেন, ৭ নভেম্বর সৃষ্টি না হলে বাংলাদেশে বহুদলী গণতন্ত্র আসতো না, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা পেতো না। এ দিবসের কারণে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়েছিলো, আওয়ামী লীগের পুনর্জন্ম হয়েছে। বলতে দ্বিধানেই জিয়াউর রহমানের সদিচ্ছার কারণেই স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশে প্রত্যাবর্তন করতে পেরেছেন।
বক্তারা আরও বলেন, দেশের মানুষকে উন্নত জীবনের নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। স্বাধীনতা পদক, একুশে পদকসহ সব ধরনের পদক প্রবর্তন করেছিলেন তিনি। সার্ক প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন ছিল মেজর জিয়ার। তিনি ছিলেন আধুনিক কৃষির জনক। তারপর বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে নারী শিক্ষার উন্নয়ন করেছেন। যুবকদের উন্নয়ন, ৭৫ এর কালা কানুন বাতিলসহ দেশের জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার দোসররা রয়ে গেছে। তাদের কাছে আছে পর্যাপ্ত অবৈধ টাকা এবং অস্ত্র। এখনো যারা ষড়যন্ত্র করছেন, তারা সাবধান হয়ে যান। দেশের মানুষ সজাগ আছে, অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করছে। বিএনপি আন্দোলনে ছিল, আছে এবং থাকবে। এখনো অনেক পথ যেতে হবে। সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি।