জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমানোর ওপর জোর, রংপুরে মতবিনিময় সভা
প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:৪৬ | অনলাইন সংস্করণ
রংপুর ব্যুরো
জলবায়ু পরিবর্তনের হারকে হ্রাস করে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তোলা, জীবাশ্ম জ¦ালানী নির্ভরতা কমানোর উপর গুরুত্বারোপ করে রংপুরে ন্যায্য জ¦ালানী রুপান্তর বিষয়ক মতবিনিময় সভা হয়েছে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে রংপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জাস্ট এনার্জি ট্রানজিশন নেওয়ার্ক বাংলাদেশ-এর অংশ হিসেবে অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ ও ডপসের আয়োজনে সভায় অংশ নেন, রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
প্রেসক্লাবের সভাপতি মোনাব্বর হোসেন মনা’র সভাপতিত্বে এতে অতিথির বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মেরিনা লাভলী। ডপসে’র নির্বাহী উজ্জ্বল চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় টেকসই ও ন্যায্য জ¦ালানী রুপান্তরের আন্দোলনের নানা দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, একশন এইডের প্রোগ্রাম অফিসার নাজিয়া ইয়াসমিন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বেগম রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল খালেক, আনিকা আক্তার, আফজাল হোসেন, এনামুল হকসহ অন্যরা।
সভায় বক্তারা বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফলে জ¦ালানীর চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর জ¦ালানী চাহিদার প্রধান অংশ পূরণ করছে জীবাশ্ম জ¦ালানী। ফলে প্রাকৃতিক সম্পদ হ্রাস পাচ্ছে এবং পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তাই জীবাশ্ম জ¦ালানীর পরিবর্তে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ¦ালানীর উপর নির্ভরতার কোন বিকল্প নেই। সভায় বাংলাদেশের ন্যায্য জ¦ালানী রুপান্তরের ১৪টি নাগরিক দাবী তুলে ধরা হয়।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ন্যায্য জ¦ালানী রুপান্তর নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্থানীয় বিশেষজ্ঞ ও নাগরিক সমাজসহ সকল অংশীদারের সমন্বয়ে বিদ্যমান বিদ্যুৎ ও জ¦ালানী নীতি এবং পরিকল্পনা অসামঞ্জস্যতা সংশোধনপূর্বক ‘জাতীয় জ¦ালানী নীতিমালা’ প্রণয়ন করা, ২০৩০ সালের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে মোট ব্যবহার্য জ¦ালানীর ৩০ শতাংশ, ২০৪০ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ২০৫০ সালের মধ্যে শতভাগ নবায়নযোগ্য ও সবুজ জ¦ালানীতে রুপান্তরের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে আইনী বাধ্যবাধকতা তৈরী করতে হবে।
বিদ্যুৎ, জ¦ালানী খাতের রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব ও জনস্বার্থ উপেক্ষাকারী ও আন্তঃদেশীয় কর্পোরেট স্বার্থ সংরক্ষণকারী যে কোন আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষর থেকে বিরত থাকতে হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য কৃষি ও পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমি অধিগ্রহণ বন্ধ করতে হবে। ভূমি অধিগ্রহনের আগে বিকল্প উৎস বাড়ির ছাদ, পতিত ও অব্যবহৃত জায়গার কার্যকরী ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সবুজ ও নবায়নযোগ্য জ¦ালানীর উৎস এবং সংশ্লিষ্ট যন্ত্রাংশের উপর কর রেয়াত ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে।