নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বাসের ধাক্কায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা আরোহী আইরিন নামে (১৩) শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এতে নিহতের আপন ছোট বোন আঁখি (৭) গুরুতর আহত হয়।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে উপজেলার জিরতলী চৌরাস্তা টু চন্দ্রগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের কালিকাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আইরিন (১৩) উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের কৃষ্ণরামপুর গ্রামের মো.বাবুলের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরের দিকে আইরিন ও তার ছোট বোন আঁখি সিএনজি চালিত অটোরিকশা যোগে চৌমুহনী পৌরসভার নাজিরপুর এলাকা থেকে আমানউল্লাহপুর ইউনিয়নের আমিনবাজারের উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। যাত্রা পথে চৌরাস্তা টু চন্দ্রগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের কালিকাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা বাস তাদের সিএনজিকে ধাক্কা দেয়। এতে সিএনজি থেকে ছিটকে পড়ে আপন দুইবোন গুরুতর আহত হয়। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আইরিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে, নিহতের ছোট বোন আঁখিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়।
চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার (ওসি) রুহুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। ঘটনার পরপরই ঘাতক বাসটি পালিয়ে যায়। পুলিশ বাসটি চিহিৃত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া বেগমগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ওই নারীর নাম নুরজাহান বেগম (৪৫)। তিনি উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার গণিপুর এলাকার মো.জাহাঙ্গীরের স্ত্রী।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে পৌনে ৪টার দিকে রেইলগেইট এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেলের দিকে নিজ বাড়ি থেকে নুরজাহান বেগম ডাক্তার দেখানোর জন্য চৌমুহনী বাজারে যায়। ভিকটিম চৌমুহনী পৌরসভার ফেনী টু নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের রেলগেইট এলাকায় দিয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় ট্রাকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি গুরুত্বর আহত হন। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।