জোটবদ্ধ আ.লীগ-বিএনপি
সীমান্তে চোরাচালান, ব্যবহার হচ্ছে ভারী অস্ত্র
বাজার সিন্ডিকেটের পকেটে রাজস্বের কোটি টাকা
প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫২ | অনলাইন সংস্করণ
এএইচ সেলিম উল্লাহ, কক্সবাজার (নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত ঘুরে)
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্ত জনপদ চোরাচালানের ট্রানজিট ঘাটে পরিণত হয়েছে। প্রতিনিয়ত এ উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে ঢুকছে গরু-মহিষ। এসব পশু চোরাচালানে জড়িত বিএনপি-আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালীরা। তাদের ছত্রছায়ায় চোরাকারবারিরা ব্যবহার করছে ডাকাত সদস্যদের। যাদের হাতে রয়েছে ভারী অস্ত্র।
সম্প্রতি রামুর গর্জনিয়া সীমান্ত এলাকার চোরাচালান নিয়ন্ত্রক আবছার ডাকাত পাহাড়ি এলাকায় অস্ত্রের প্রশিক্ষণ দেয়ার একটি ছবি প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। অভিজ্ঞ মহলের মতে, আবছারের হাতের অস্ত্রটি একে-৪৭ রাইফেল।
একাধিক সূত্রমতে, পশুসহ চোরাচালানের কাজে সীমান্তে ব্যবহার হচ্ছে ভারি অস্ত্র। পাহাড়ি জনপদ হওয়ায় অস্ত্রধারি সহ অপরাধীদের ধরতে বেক পেতে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের। অনেকটা সীমান্ত দিয়ে ওপেন ডুকছে পশু ও মাদকদ্রব্য। আর বাংলাদেশ থেকে যাচ্ছে খাদ্যদ্রব্য।
অনুসন্ধান বলছে, মিয়ানমার থেকে চোরাইপথে আসা এসব পশু নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত অতিক্রম করে কক্সবাজারের রামুর গর্জনিয়া পশুর হাটে তোলা হয়। এরপর পশু 'বৈধ' করতে ৫২ জন খামারির কাগজপত্র ব্যবহার করা হয়। খামারিদের অভিযোগ, তারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও চোরাচালান বন্ধে প্রশাসন কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।
জানা যায়, বৈধ ট্রানজিট ঘাট টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ করিডোর দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় কোটি কোটি টাকার রাজস্ব বঞ্চিত সরকার। এ সুযোগে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে অবৈধভাবে পশু ঢুকিয়ে অবৈধপন্থায় কোটি কোটি টাকা রাজস্ব লুটে নিচ্ছে চোরাকারবারি চক্র।
অনুসন্ধান বলছে, চক্রটি খামারি পরিচয়ে গরু-মহিষ ও মাদকসহ পণ্য চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করেন। বিভিন্ন এলাকার ডাকাত সদস্যদের দলে ভিড়িয়ে গড়ে তুলেছেন বিশাল বাহিনী। বিশেষ গজনিয়ার ডাকাত আবছারও শাহীনের হতে রয়েছে ভারী অস্ত্র। তাদের ভয়ে কেউই মুখ খুলতে চান না।
যেপথে ঢুকছে মিয়ানমারের পশু
অনুসন্ধান বলছে, প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ডাকাত সদস্যরা ভারী অস্ত্রের মহড়া দিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির দুর্গম সীমান্ত দিয়ে রাতের আঁধারে প্রতিদিন বাংলাদেশে ঢুকছে মিয়ানমারের শত শত পশু। সোনাইছড়ি, চাকঢালা, মৌলভী কাটা, হাজীর পাড়া, জামছড়ি, কেঁয়াজুর বিল এবং নাইক্ষ্যংছড়ি লেকের লাইটের গোড়া হয়ে রামুর গর্জনিয়া বাজারে পৌঁছে যায় এসব পশু। চোরাচালানের আরও কিছু গরু-মহিষ বিক্রি হয় নাইক্ষ্যংছড়ি ডেইরি ফার্ম থেকে। এরপর এই গরু মহিষ বাজার থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ব্যবসায়ীরা কিনে নেন।
স্থানীয় সূত্র বলছে, গত এপ্রিল থেকে আগষ্ট মাস পর্যন্ত সীমান্ত দিয়ে এপারে কয়েক লাখ চোরাই গরু ঢুকেছে। এপ্রিল মে মাসে ঢুকেছে ৭০ হাজারের বেশি। জুন মাসে ঢুকেছে ৫০ হাজারের বেশি গরু-মহিষ। একইভাবে জুলাই-আগস্টে ঢুকেছে বানের স্রোতের মতো।
সরজমিনে দেখা যায়, নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত থেকে সাত কিলোমিটার দূরে গর্জনিয়া বাজার। তার আধা কিলোমিটার এগোলে গর্জনিয়া পশুর হাট। কোরবানির ঈদে এ হাট বেশ জমজমাট থাকে। বাজারের দিন হাটে বড়, ছোট ও মাঝারি মিলিয়ে ২’শর মতো গরু-মহিষ উঠে। এর মধ্যে বেশিরভা মিয়ানমারের চোরাই গরু-মহিষ। দেশীয় বলে এসব গরু বিক্রি হয় এ হাটে। কোনো ধরণের বাজার ইজারা নীতিমালা না মেনে চলে এ হাট। টাঙানো থাকে মূল্য তালিকাও।
যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ
অনুসন্ধান বলছে, চোরাই গরু-মহিষের কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে কচ্ছপিয়া হাজীপাড়ার নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, গর্জনিয়া হাইস্কুল পাড়ার আমান উল্লাহ, জাফর আলম, হাজীর পাড়ার আবু ঈসা, বড়জামছড়ির আব্দুল্লাহ, ছুরুত আলী, শামসুল আলম, আব্দুল খালেক ও আব্দুস সালাম সহ আরও বেশ কয়েকজন। এদের মধ্যে নজরুল, আলী এবং আমান উল্লাহর বিরুদ্ধে মাদক পাচার ও বিক্রির অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়াও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য থেকে শুরু করে স্থানীয় দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ এবং গরু-মহিষের অবৈধ চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
সুত্র বলছে, মিয়ানমার থেকে আসা এসব গরুর শরীরে সাংকেতিক চিহ্ন থাকে। গর্জনিয়া বাজারে তোলার আগে রাসায়নিক দিয়ে সেই চিহ্ন মুছে ফেলার চেষ্টা চলে। তারপরও কিছু গরুর গায়ে সিল থেকে যায়। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, পাচারকারীরা গণনার সুবিধার্থে এই সিল লাগিয়ে দেয়।
গত বৃহস্পতিবার গর্জনিয়া হাটে মিয়ানমারের ১৩টি মাঝারি গরু বিক্রি করেন মৌলভী কাটার বাসিন্দা মো. ফরিদ। তিনি বলেন, গরু মিয়ানমারের হলেও তিনি বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে কিনেছেন।
গর্জনিয়া বাজার ইজারাদার (একাংশ) ইউপি সদস্য শাকিল প্রতিবেদকের কাছে স্বীকার করেন, এই বাজারে প্রায় সব গরু মহিষই মিয়ানমারের। এখানে যেভাবে চোরাচালানের পশু সস্তায় পাওয়া যায় ফলে খামারিরা পশু পালনের যৌক্তিকতাই থাকে না।
কচ্ছপিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান আবু নোমান জানান, চোরাচালানের গরু বাজারে ঢুকছে এটা সত্য। কিন্ত প্রশাসন যদি সীমান্তে চোরাচালান না ঠেকায় তাহলে এর দায় কে নেবে?
প্রশাসন নিচ্ছে অনৈতিক সুবিধা
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, রামু থানার গর্জনিয়া ফাঁড়ি, নাইক্ষ্যংছড়ি থানা এবং ইউএনও এসব গরু পাচারকারীদের নিকট হতে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে থাকেন। ফলে খামামিরা পথে বসেছে। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বাধ্য হয়ে গরু মহিষ চোরাচালানের ব্যবসায় ঝুঁকেছে কেউ কেউ।
জানা যায়, গরুর পাল বাংলাদেশের ভূখণ্ডে আনার পর দুর্গম সীমান্তের পাহাড়, জঙ্গল ও সামাজিক বনায়নের ভেতর জড়ো করা হয়। তারপর সময়–সুযোগ বুঝে ২০ থেকে ৫০টি গরুর পাল আনা হয় ঘুমধুম সীমান্তঘেঁষা চাকঢালা ও তুমব্রু টিভি টাওয়ার বাজারে। সেখান থেকে পাহাড়ি পথে গরু আনা হয় সাত কিলোমিটার দূরের রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের গর্জনিয়া বাজারে। গর্জনিয়া বাজার থেকেই চোরাই গরু ছড়িয়ে পড়ে রামুতে। সেখান থেকে গরুগুলো ট্রাকযোগে পৌঁছানো হয় জেলার বিভিন্ন কোরবানির পশুর হাটে। কিছু গরু সরবরাহ করা হয় চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, লোহাগড়া, আনোয়ারা, বাঁশখালীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
অভিযোগ রয়েছে, নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতা মূলত চোরাই গরু আনার ক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেন।
কে এই শাহীন?
সূত্র মতে, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং পুলিশের যৌথ অভিযানে রামুর গর্জনিয়া শিবাতলী পাহাড়ি এলাকার গোপন আস্তনা থেকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয়েছিলেন আন্তঃজেলা শীর্ষ ডাকাত শাহীনুল ইসলাম ওরফে শাহীন ডাকাত। প্রায় তিন বছর কারাভোগের পর জামিনে বেরিয়ে এসে আবারো জড়িয়ে পড়েন অপরাধে। প্রতিরাতে ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতংক ছড়িয়ে পুরো পূর্বাঞ্চলে করেছেন রাম রাজত্ব। তার ইচ্ছার ওপর চলে রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ির প্রায় ৬ ইউনিয়নের অর্ধলক্ষ মানুষ। ওই সূত্রটি বলছে, শাহীনের বিরুদ্ধে রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় ৫টি ডাকাতি, ৩টি অস্ত্র, ১টি মাদক, ৪টি হত্যা চেষ্টা ও দুইটি হত্যা মামলা রয়েছে। সে একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী।
এসব বিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্য শীর্ষ ডাকাত শাহীনুল ইসলাম ওরফে শাহীন ডাকাতের একাধিক নাম্বারে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে এ প্রতিবেদক। কিন্তু তার কোন নাম্বার সংযোগ নেই আবার সংযোগ পেলেও তিনি কোন সাড়া দেননি। যার কারনে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
ডাকাত আবছার কোথায় থাকেন?
খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, শৃঙ্খলা বাহিনীর ঝামেলা এড়াতে ডাকাত আবছার- ডাকাত শাহীন পাহাড়ী এলাকায় আস্তানা গেড়েছে। ডাকাত আবছার বেশিরভাগ সময় বাইশারী-ঈদগড়ের পাহাড়ী এলাকায় থাকেন। ঈদগড়ের রোস্তম মেম্বার তাকে এবং তার বাহিনীকে সহযোগিতা করে আসছে। এছাড়া আবছার ডাকাতের সহযোগী হিসাবে যাদের নাম আসছে মোহাম্মদ আবুল বশর, মোহাম্মদ মোস্তাক আহম্মদ যুবদল নেতা রাসেল, এরশাদ উল্লাহ, শওকত আলী, বিকাশ ফরমানসহ অনেকেই। স্থানীয়দের তথ্য মতে, বিকাশ ফরমানকে গ্রেফতার করলে ডাকাত আবছারের ব্যাপারে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যাবে। ছেলে পাহাড়ে থাকলেও তার অপরাধের সমস্ত অর্থ দাতা ও মদত দাতা হিসাবে কাজ করছে ডাকাত আবছারের বাবা নুর হোসেন। পুলিশের তথ্য মতে, ডাকাত আবছার- ডাকাত শাহীনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে আবছারের বিরুদ্ধে রামু থানায় দুইটি হত্যা, একটি অস্ত্র, একটি ডাকাতি প্রস্তুতি ও একটি মারামারি মামলা রয়েছে। অভিযুক্তদের বক্তব্যের জন্য নানা ভাবে চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
মাংসের সংকট নিরসন ও মিয়ানমার থেকে পশু আমদানির লক্ষ্যে ২০০২ সালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে একটি করিডোর চালু করা হয়। করিডোর দিয়ে গরু আমদানি হলে সরকার রাজস্ব পায় ৫০০ কোটি টাকা। পশু আমদানির কারণে দেশীয় খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন-এমন অজুহাতে ২০২১ সালের ৭ জুলাই করিডোর দিয়ে পশু আমদানি বন্ধ করা হয়।
টেকনাফের শুল্ক বিভাগের দেওয়া তথ্যমতে, করিডোর চালুর ১৮ বছরে পশু আমদানির বিপরীতে সরকার ৩৬ কোটি ৮০ লাখ ৬৯ হাজার ৪০০ টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। কিন্তু গত কয়েক বছরে এক টাকাও আয় হয়নি।
টেকনাফের ব্যবসায়ীরা জানান, করিডোর বন্ধের সুযোগ নিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার শুরু হয়। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এখন দৈনিক দুই হাজারের বেশি গরু ঢুকছে। করিডোর চালু থাকলে সরকার রাজস্ব পেত। এ ব্যাপারে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অবহেলাকে দুষছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কাস্টমস কর্মকর্তা।
বিপাকে খামারিরা
কক্সবাজার শহরসহ জেলার ৯টি উপজেলায় গেলো কোরবানির ঈদে পশু বিক্রির হাট বসেছে ৯৪টি। সব কটি হাটেই চোরাই গরু বিক্রি হয়। বিশেষ করে, সদরের খরুলিয়া, পিএমখালী, জুমছড়ি, রামুর কলঘর, মিঠাছড়ি ও টেকনাফের কয়েকটি বাজারে চোরাই গরু বিক্রি হয় বেশি।
কচ্ছপিয়ার খামারি রশিদ জানান, চোরাই গরুর কারণে তিনি ন্যায্য মূল্যে গরু বিক্রি করতে পারেননি। ফলে খামারে গরু পালন করে ব্যবসা করা তার পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছে না। আগে এখানে ৫০/৬০ টি গরু ছিলো। এখন আছে মাত্র ৭টি।
এই প্রসঙ্গে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিভীষণ কান্তি দাশ সাংবাদিকদের বলেন, গর্জনিয়া বাজার নিয়ে অনিয়ম স্বেচ্চাচারিতার অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি প্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও সীমান্তের চোরাচালান বন্ধে জেলা প্রশাসনের চেয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) তৎপরতা বৃদ্ধির কথাও জানান তিনি।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ট্রাফিক) মো. জসিস উদ্দীন চৌধুরী বলেন, এই সব চক্রের বিরুদ্ধে পুলিশ সজাগ রয়েছে। নিয়মিত অভিযানও চলমান রয়েছে। তার মতে, ডাকাত আবছার- শাহীন ডাকাত পুলিশের খাতায় মোস্ট ওয়ারেন্ট অপরাধী। তাদের ধরতে পুলিশ নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘সীমান্ত কেন্দ্রিক মাদক ও অস্ত্রসহ অন্যান্য চোরাচালান রোধ র্যাবের বাধ্যবাধকতায় নেই। তারপরও অস্ত্র ও বড় বড় মাদক চোরাচালান রোধ করতে র্যাবের বড় সাফল্য রয়েছে। সীমান্ত পার হওয়ার পর র্যাবের চৌকস গোয়েন্দাদের নজরদারিতে বহু মাদক ও অস্ত্রে চোরাচালান জব্দ করেছে র্যাব। এসব ঘটনায় জড়িত অনেক অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ‘কক্সবাজারের সামগ্রিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আমাদের কোনো অবহেলা নেই। তবে জনসাধারণেরও দায়িত্ববোধ রাখতে হবে। র্যাবকে তথ্য দেয়াসহ নানাভাবে সহযোগিতা করতে। জনগণের সহযোগিতা পেলে আমরা আমাদের কাজে গতি বৃদ্ধি পায়।
বিষয়টির প্রসঙ্গে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল সাহল আহমেদ নোবেল এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে প্রতিবেদকের পরিচয় নিশ্চিত করে তার হোয়াটসঅ্যাপ এসএমএস দিলেও কোন সাড়া মিলেনি।