কাপ্তাই হ্রদের সুবলং চ্যানেলের ( সুবলং বাজার ঘাট-শহীদ মিনার) ১৩ কি.মি পথ প্রায় ৪ ঘন্টায় পাড়ি দিলেন সাঁতারু বরগুনা জেলার মো. সাইফুল ইসলাম রাসেল।
‘কাপ্তাই লেকে কাটবে সাঁতার, ভয় করবে জয়, নিয়মিত কাটলে সাঁতার স্বাস্থ্য ভালো রয়’ প্রতিপাদ্যে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে এ সাঁতারের আয়োজন করা হয়।
সুবলং চ্যানেল সুইমিং-২০২৪’ র্শীষক এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন, জেলা ক্রীড়া অফিস ও জেলা ক্রীড়া সংস্থা। স্থানীয়সহ বেঙ্গল ডলফিন্সের দেশ সেরা ২৭ সাতারু এতে অংশ নেন।
সকাল ৮টায় বরকল উপজেলার সুবলং আর্মি ঘাটে এ আয়োজনে উদ্বোধন হয়। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় প্রতিযোগিতারা পর্যায়ক্রমে রাঙামাটি সদরের শহীদ মিনার ঘাটে এসে সাতার শেষ করেন। দীর্ঘ এই পথ প্রতিযোগিরা পৃথক সময়ে প্রতিযোগিতা শেষ করেন।
বরগুনা জেলার মো. সাইফুল ইসলাম রাসেল ৩ ঘন্টা ৫৪ মিনিটে এই পথ পাড়ি দিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেন। সাতক্ষিরা জেলার মোঃ তৌফিকুজ্জামান দ্বিতীয় ও রাঙামাটি জেলা ক্রীড়া অফিসার এস আই ফেরদৌউস আলম ৩য় স্থান অর্জন করেন।
প্রতিযোগিতা শেষে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, জোন কমান্ডার এরশাদ হোসেন চৌধুরী, সিভিল সার্জন নুয়েন খীসা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাসরীন সুলতানা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ নুরুল আমিন।
প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, এই হ্রদ নিয়ে যে ভ্রান্ত ধারনা, কুসংস্কার এবং ভয়ভীতি আশা করি এ আয়োজনের মাধ্যমে অনেকটা দুর হবে। পাশাপাশি রাঙামাটিতে যে একটি সুবলং চ্যানেল রয়েছে, তা দেশ এবং দেশের বাইরে পরিচিতি পাবে। তিনি সুবলং চ্যানেল পাড়ি দেওয়া সাতারুদের অদম্য সাহস ও উৎসাহের প্রশংসা করে বলেন, আপনারা প্রথম সুবলং চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ইতিহাস হয়ে রইলেন। তিনি এই সাতারুদের কেউ যদি ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার উদ্যোগ নেন তাহলে রাঙামাটি প্রশাসন থেকে সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।
পরে বিজয়ীসহ সকল প্রতিযোগিদের মাঝে ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়।
আয়োজক প্রতিষ্ঠান জেলা ক্রীড়া অফিসার এস আই ফেরদৌউস আলম বলেন, প্রতি বছর রাঙামাটিতে প্রচুর মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়। যাদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। এ আয়োজনের উদ্দেশ্য হচ্ছে কাপ্তাই হ্রদ এলাকায় শিশু কিশোর ও যুবদের সাঁতারে উদ্বুদ্ধকরণ করা ও পানি ভীতি দুর করা। এছাড়া শিশুদের মধ্য থেকে আগামীতে জাতীয় পর্যায়ে সাঁতারু তৈরির উদ্যোগ নেওয়া।