পেঁয়াজ-রসুন বীজের মূল্য বৃদ্ধি, দিশেহারা সিরাজগঞ্জের কৃষকেরা
প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:৩৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস.এম তফিজ উদ্দিন, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন হাট-বাজারে পেঁয়াজ ও রসুন বীজের সংকট ও তার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে মৌসূমী এ চাষাবাদে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষকেরা। এতে এ চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এবার জেলার ৯টি উপজেলার প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে পেয়াঁজ ও রসুন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এরমধ্যে পেয়াজ ১ হাজার ৮৫ হেক্টর ও রসুনের ৯’শ হেক্টর জমি ধরা হয়েছে। ইতোমধ্যেই কৃষকেরা লাভজনক পেয়াঁজ রসুন চাষাবাদ শুরু করেছে। কিন্তু বিভিন্ন হাট-বাজারে এ বীজ সংকট ও মূল্য বৃদ্ধি থাকায় কৃষকেরা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বর্তমানে হাট-বাজারে হাইব্রিড পেয়াঁজের বীজসহ বিভিন্ন জাতের পেয়াঁজের বীজ গড়ে সাড়ে ৪ থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা ও রসুনের বীজ ৩৪০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে এবং তাও আবার এ বীজের সংকটের দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি এ চাষাবাদ হয়ে থাকে জেলার চলনবিল এলাকার তাড়াশ, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া ও শাহজাদপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে। এছাড়া যমুনার তীরবর্তী চরাঞ্চলে এ চাষাবাদ করছে। তবে চলনবিল এলাকায় প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে পেয়াঁজ ও রসুন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। বীজের দাম বেশি থাকায় এ চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ারও আশংকা রয়েছে।
স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, ১ বিঘা রসুন চাষাবাদে প্রায় ৩০ হাজার এবং পেঁয়াজ চাষাবাদে প্রায় ৫৬ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। এ চাষাবাদে বীজের দাম বেশি থাকায় অনেক কৃষক হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। তবে অসৎ ব্যবসায়ীদের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ভরা মৌসুমে এ ২ ফসলের বীজের মূল্য বৃদ্ধি ও সংকটের সৃষ্টি হওয়ায় চাষাবাদে অনেক কৃষক বিপাকে পড়েছে।
জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক আ. জা. মু. আহসান শহিদ সরকার আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, এ চাষাবাদে উৎসাহিত করা জন্য ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে পেয়াঁজের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে । তবে বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজ-রসুনের বীজের দাম এখন কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বীজ সংকটের বিষয় এখনও জানা যায়নি। এ চাষাবাদে বাম্পার ফলন হলে খরচ বাদে কৃষকেরা লাভবান হবে। এ চাষাবাদে স্থানীয় কৃষি বিভাগ কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।