যমুনা নদীতে অসংখ্য চর ডুবোচর জেগে ওঠায় নৌ চলাচলে ব্যাহত

প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:১৩ | অনলাইন সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অসংখ্য চর ও ডুবোচর জেগে উঠেছে। এতে নৌযান চলাচলে এখন চরম ব্যাহত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জে নি¤œাঞ্চলে বন্যা পরবর্তীতে যমুনা নদীর পানি ক্রমাগতভাবে কমতে থাকে। কয়েক সপ্তাহ ধরে যমুনার পানি দ্রæত হ্রাস পাওয়ায় বিভিন্ন পয়েন্টে জেগে উঠেছে অসংখ্য চর ও ডুবোচর। এ কারণে নৌযান চলাচলে চরম ব্যহতের সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য জেলা শহরের সাথে নৌপথে চৌহালী, বেলকুচি, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চল মানুষের চলাচলে চরম বিঘœ ঘটছে। এছাড়া বিভিন্ন পন্যবাহী নৌযান নারায়ণগঞ্জ, জামালপুর, মানিকগঞ্জ ও চট্রগ্রামসহ দেশের উত্তর দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে চলাচলে চরম ব্যহত হচ্ছে। বিশেষ করে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি নৌবন্দরগামী রাসায়নিক সার, জ্বালানী তেল ও পণ্যবাহী কার্গো-জাহাজ চলাচল করতে পারছেনা।

এতে যথাসময়ের মধ্যে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার ১৪টি বাফার গুদামে আপদকালীন রাসায়নিক সার মজুদ ও জ্বালানী তেল সরবরাহে বিঘœ সৃষ্টির আশংকা রয়েছে। পাবনার বেড়া উপজেলার নাকালিয়া থেকে কৈটোলা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এবং কৈটোলা এলাকায় প্রায় ৫শত মিটার এলাকা জুড়ে ডুবোচর জেগে উঠেছে। এ কারণে চট্টোগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ওটিসি-পাওয়ার-জিরো নামের একটি কার্গো জাহাজ ডিজেল তেল নিয়ে কয়েক দিন আগে ওই স্থানে আটকা পড়ে যায়। এ সংবাদের আরো ৬/৭টি জ্বালানী তেলবাহী জাহাজ নগরবাড়ি এলাকায় নঙ্গর করে রাখা হয়। কৈটোলা এলাকার ওই স্থানে ড্রেজিং সম্পন্ন না হওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে বিশেষ ব্যবস্থায় পণ্যগুলো বাঘাবাড়ি নৌবন্দরে আনা হয়। বাংলাদেশ নৌযান ফেডারেশন বাঘাবাড়ি নৌবন্দর শাখার সহ-সভাপতি আব্দুল ওয়াহাব মিয়া ও বাঘাবাড়ি নৌবন্দর লেবার এজেন্ট আবুল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, যমুনা ও বড়াল নদীতে পানি কম ও ডুবো চর জেগে ওঠায় নগরবাড়িতে ৭টি ও কৈটোলায় একটি জাহাজ আটকা পড়ে। দ্রæত সময়ের মধ্যে ড্রেজিং সম্পন্ন করে জাহাজগুলো বাঘাবাড়ি নৌবন্দরে পৌছানোর ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ নৌরুট দ্রুত সচল করা না হলে আসন্ন ইরি-বোরো মৌসুমে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার ১৪টি বাফার গুদামে আপদকালীন সার মজুদ ও জ্বালানি তেল সরবরাহ বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে এবং নৌবন্দরে কর্মরত প্রায় ২ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে যেতে পারে। তবে বাঘাবাড়ি নৌবন্দরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলছেন, আসন্ন ইরি বোরো চাষাবাদে সার তেল সংকটের আশংকা নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।