চট্টগ্রামের পটিয়ায় আবারও নৈশ্যপ্রহরীকে মারধর ও অস্ত্র ঠেকিয়ে ২১ গরু লুটের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার ভোর রাতে পটিয়া উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের নন্দেরখীল গ্রামের মরিয়ম এগ্রো ফার্মে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় ডাকাতদল খামারে প্রবেশ করে নৈশ্যপ্রহরী আলাউদ্দিন (৪৫), সালাউদ্দিন (৩৫) ও মো: রহিমকে (২০) বেঁধে মারধর ও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ফিল্মি স্টাইলে ২১টি গরু লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনার আগে খামারের সকল বৈদ্যুতিক লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
গত ১১ নভেম্বর মঙ্গলবার একই স্টাইলে উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের হুলাইন ছালেহ নুর ডিগ্রী কলেজ এলাকার একটি ফার্ম থেকে ১৯টি গরু লুটের ঘটনা ঘটে। রোববার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে এ ঘটনায় জড়িত ডাকাত সর্দার মুখতার শাহ (৪৫) চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দার হাট থেকে পটিয়া থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছেন। সে পটিয়া উপজেলার বরলিয়া ইউনিয়নের বারইকাড়া এলাকার শামসুল ইসলাম শাহর পুত্র।
জানা গেছে, উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নের নন্দেরখীল গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে মোহাম্মদ তৌহিদ নামের একব্যক্তি গরুর খামার করে আসছিলেন। তার খামারে ৩২টি গরু ছিল। এর মধ্যে মঙ্গলবার ভোরে রাতে ডাকাতদল তার গরু নিয়ে যায়। আজ সকালে খামারের নৈশ্যপ্রহরীকে ডাকতে গেলে তাদের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় লোকজন উদ্ধার করে।
মরিয়ম এগ্রো ফার্মের মালিক মোহাম্মদ তৌহিদ জানিয়েছেন, সোমবার রাত ১টা পর্যন্ত খামারে ছিলেন৷ পরে খামার বন্ধ করে নৈশ্যপ্রহরীরা ঘুমাতে যান। তার খামারে ৩২টি গরু ছিল। এর মধ্যে সংঘটিত গরু লুটের ঘটনায় প্রায় ৩০ লাখ টাকা দামের ২১টি গরু লটু করে নিয়ে যায়। আরো ৩টি গরু জোরপুর্বক নিতে চেয়েছিল। সম্ভবত গাড়িতে উঠানোর সময় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। তাই এ ৩টি গরু নিতে পারেনি।
পটিয়া থানার ডিউটি অফিসার সুজন জানিয়েছেন, এ বিষয়ে স্যার অবগত আছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম গেছে। তারা না আসা পর্যন্ত কি ঘটেছে তা বলা যাচ্ছে না।