ভোলার লালমোহনে বিএনপির দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু তৈয়ব (৩২) এর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে আহত আবু তৈয়ব ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত তৈয়ব বদরপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও একই এলাকার কারি মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের ছেলে।
জানা গেছে, গত ১৮ নভেম্বর সকালে বদরপুর ইউনিয়নের বিএনপির (উত্তর) সভাপতি শহিদুল্যাহ মেলকার গ্রুপ ও সাবেক বিএনপির নেতা কামাল হুইচ গ্রুপের মধ্যে দেবিরচর বাজার ইজারার দখল নিয়ে বিএনপির এ দুই গ্রুপের মধ্যে কথার কাটাকাটির এক পর্যায়ে শহিদুল্যাহ মেলকারের লোকজন দা, ছেনি, রড ও দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে কামাল হুইচ গ্রুপকে আক্রমন করে। এতে কামাল হুইচ ও শহিদুল্লাহ মেলাকার গ্রুপের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের মনজু হাওলাদার, রশিদ হাওলাদার, হাচান কবির সুইচ, শাওন ওয়ার্ড যুবদল সম্পাদক আবু তৈয়ব গুরুতর আহত হয়। গুত্বর আহত শাওন ও আবু তৈয়বকে প্রথমে লালমোহন সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
এ ব্যাপারে বদরপুর ইউনিয়ন উত্তর বিএনপির সভাপতি শহিদুল্যাহ মেলকার ও বিএনপি নেতা কামাল হুইচ এর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, দেবিরচর বাজারের ইজারাকে কেন্দ্র করে অনেকদিন ধরে সমস্যা চলছিল। সেদিন দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের খবর শুনে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এবং কয়েক জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। শুনেছি চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক জন মারা গেছে।