সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কাঙলাকান্দা নলুয়া গ্রামের চাঞ্চল্যকর রইস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় ২ গ্রেফতার করা হয়েছে এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু, লুট হওয়া মোবাইল, ট্রাউজার ও লুঙ্গি উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, ওই গ্রামের আজিজ আলী মন্ডলের ছেলে মামুন (২৯) ও জুগ্নীদহ পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত রানুর ছেলে জয়নাল শেখ (৫০)।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) মো. কামরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, রইস উদ্দিনের প্রথম স্ত্রী মারা যাবার পর দ্বিতীয় বিয়ে করে। প্রায় ৯ বছর আগে আগে দ্বিতীয় স্ত্রীও তাকে তালাক দিয়ে চলে যায়। এরপর থেকে সে একাই থাকতো এবং মুদি দোকান করতো। প্রতিদিনের মতো গত ৩ নভেম্বর সকালে সে দোকানে আসলেও রাতে সে আর বাড়ি ফেরেনি। স্বজনেরা তাকে বহু খোঁজাখুজি করে সন্ধান না পেয়ে গত ৮ নভেম্বর সংশ্লিষ্ট থানায় জিডি করা হয়।
একপর্যায়ে গত ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যার শাহজাদপুর পৌর এলাকার নলুয়া বাজারের পাশের একটি ডোবা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ব্যাপারে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। বুধবার দুপুরে এলাকায় অভিযান চালিয়ে রইস হত্যার সাথে জড়িত ২ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের দেয়া তথ্যর ভিত্তিতে ২টি মোবাইল ফোন, ট্রাউজার, লুঙ্গি ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, গ্রেফতারকৃতরা মাঝে মাঝে ভিকটিম রইসের দোকানে আড্ডা দিত। তাদের কাছে টাকা না থাকায় ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। এ পরিকল্পনা অনুযায়ী ৩ নভেম্বর গভীর রাতে তারা ভাড়া বাড়িতে গিয়ে রইসকে ডাক দেয়। এ সময় রইস বাইরে বের হলে জয়নাল রইসকে চেপে ধরলে মামুন জবাই করে হত্যা করে এবং তার তোষকের নিচে থাকা ১৬ হাজার টাকা নেয় তারা। এরপর তার ব্যবহৃত ২টি মোবাইল এবং রক্ত টয়লেটে ফেলে দেয় এবং মামুনের রক্তমাখা লুংগি ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু বাড়ির পাশের ডোবাতে ফেলে দেয়া হয়। নিহতের লাশ বস্তার মধ্যে ঢুকিয়ে পাশ্ববর্তী ডোবায় ফেলে দিয়ে লুটের টাকা ভাগ করে নিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে থাকে তারা।