শস্য ভান্ডার খ্যাত উত্তরের বৃহৎ জেলা নওগাঁ। জেলার মাঠে মাঠে এখন বিভিন্ন ধরণের শাকসবজির সমারোহ। তারপরও সবজির ভর মৌসুমে বাজারে চড়া দাম। এতে বাজারে গিয়ে হিমশিম খেতে হতে হচ্ছে ভোক্তাদের। এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
ভোক্তাদের সুবিধার জন্য স্বল্প লাভে ‘ন্যায্য মূল্যের দোকান’ চালু করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় ও সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দোকানটি চালু করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে দোকানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়াল।
উপজেলা পরিষদ বাজার (সিও অফিস) অর্থ্যাৎ উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় গেটের বাম পাশে এ দোকানটি অবস্থিত। ন্যায্য মুলের দোকানে আপাতত তিনটি পণ্য আলু ৬৫ টাকা, পেঁয়াজ ১০৫ টাকা কেজি এবং ডিম ৪৫ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। এ দোকান থেকে একজন ক্রেতা ২ হালি ডিম এবং ২ কেজি করে আলু ও পেঁয়াজ কিনতে পারবেন। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সবজিও বিক্রি হচ্ছে স্বল্প লাবে। দোকানটি উদ্বোধনের পর বাজার থেকে কিছুটা কম দামে পন্য কিনতে ভীড় করেন ক্রেতারা। বাজার মূল্য থেকে কিছুটা কম দামে পন্য পেয়ে উপকৃত হচ্ছে ভোক্তারা। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ দোকান চালু থাকবে।
শহরের কোমাইগাড়ী মহল্লার গৃহবধু রোকেয়া বেগম বলেন, বাজার করার জন্য সিও অফিস বাজার যাচ্ছিলাম। এই দোকানে দাম কিছুটা কম থাকায় এক কেজি আলু, একটি ফুলকপি ও এক হালি ডিম কিনেছি। যা বাজার থেকে ১৫-২০ টাকা সাশ্রয় হয়েছে। এই দোকানটি হওয়ায় নি¤œবিত্তদের জন্য সুবিধা হবে। বাজারের সিন্ডিকেটও কমে আসবে।
উদ্বোধনের সময় সদর উপজেলা প্রশাসন নির্বাহী অফিসার এসএম রবীন শীষ, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. বায়েজিদ আলম, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নওগাঁর সহকারী পরিচালক রুবেল আহমেদ সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নওগাঁ জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়াল বলেন, এ বাজারের মাধ্যমে প্রান্তি পর্যায়ের কৃষকের পাশাপাশি সবশ্রেনী পেশার মানুষরা উপকৃত হবেন। কারণ প্রতিদিন কৃষকদের কাছ থেকে কাঁচামাল কিনে নিয়ে এসে ন্যায্য মুল্যে বাজারে স্বল্প লাভে বিক্রি করা হবে। বিষয়টি নিয়ে বাজার কমিটির সাথে আলোচনা হয়েছে। বাজারে সুষ্ঠু প্রতিযোগীতা রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ন্যায্য মুলের দোকান চালু করা হয়েছে। তিনি বলেন- এ দোকান থেকে সচেতনামুলক কিছু বিষয়ও প্রচার করা হচ্ছে। পলিথিন ব্যবহার নিরুসাহিত করতে বিকল্প হিসেবে কাপড়ের ব্যাগে পন্য বিক্রি হবে। কেউ চাইলেও পলিথিনে পন্য বিক্রি করা হবে না।
এছাড়া বাল্য বিবাহ বন্ধ ও আর্বজনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার জন্য সচেতনামুলক নির্দেশনা লেখা থাকবে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি উপজেলায় ন্যায্য মুলের দোকান চালু করা হবে।