রংপুরে নিখোঁজ মেয়েকে ফেরত পেতে সংবাদ সম্মেলন করে হারানো মেয়েকে ফেরত চেয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
রোববার (২৪ নভেম্বর) রঙ্গপুর সাহিত্য পরিষৎ হলে সংবাদ সম্মেলন করেন নিখোঁজ হওয়া মিম আক্তারের বাবা মিঠু আহমেদ।
জানা যায়, রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার উত্তর কোলকোন্দ মীরপাড়ার মোঃ মিঠু আহম্মেদ কন্যা মীম আক্তার (১৭) গংগাচড়া সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রতিদিনের মতো কলেজে পড়াশোনার জন্য যাতায়াত করতেন। একই এলাকার মোঃ দুলাল মিয়ার ছেলে মোঃ সাকিল মিয়া (২৩) বিভিন্ন সময় সাকিল মিয়া পথরোধ করেন। বিবাহ করবেন বলে প্রলোভনের মাধ্যমে প্রেম ভালোবাসার প্রস্তাব দেয়। মিম আক্তার প্রস্তাব প্রত্যাখান করলে মিমকে ও তার বাবাসহ পরিবারের লোকদেরকে ভয়ভীতি দেখায়।
নিখোঁজ মিম আক্তারের বাবা মিঠু আহমেদ তার লিখিত বক্তব্য বলেন, আমার মেয়ে প্রতিদিনের মতো কলেজ ও কোচিং প্রাইভেট যাওয়া আসা করতো। একই এলাকার দুলাল মিয়ার বখাটে ছেলে সাকিল মিয়া আমার মেয়েকে পিছন থেকে তাকে ভালবাসা ও বিবাহ করার প্রলোভন দেয় এতে আমার মেয়ে তার প্রস্তাবকে প্রত্যাখান করলে সে অশ্লীয় ভাষা বলিয়া বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এমনকি তাকে না পেলে সে তার পরিবারকে প্রাননাশের হুমকি প্রদান করে আসছিল। এক পর্যায়ে মিঠু আহমেদ বিষয়টি জানতে পেরে সাকিলের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বিষয়টি আমলে না নিয়ে বরং উল্টো আমার মেয়ে ও আমাকে দোষারোপ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, গত ১ নভেম্বর ২০২৩ সন্ধ্যার সময় বাড়ির পাশর্^বর্তী প্রতিবেশির বাড়িতে যাওয়ার সময় ওৎ পেতে থাকা সাকিল ও তার লোকজন নিয়ে আমার মেয়েকে জোর পূর্বক টানা হেচড়া করে মাইক্রোবাসে করে নিয়ে যায়। এরপর মোঃ সাকিল মিয়াসহ মোট ৭ জনকে আসামী করে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় নারী শিশু নির্যাতন আইনে এজাহার নং ১৮।
পরবর্তীতে নারী শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করা হয়, মামলা নং-১৯। আমার সহযোগিতায় এজাহারভূক্ত ৩ আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আসামীরা পরে জামিনে এসে আমাকে এজাহার তুলে নেওয়াসহ প্রাননাশের হুমকি প্রদান করে আসছেন। আমি মামলা তুলে না নিলে তারা আমাকে প্রানে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়।
তিনি আরো বলেন, গঙ্গাচড়া মডেল থানা পুলিশ স্খানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি ও কোলকোন্দ ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করেও আমার মেয়ের কোন সন্ধান পাচ্ছিনা। আমার মেয়ে আজও বেঁচে আছে কিনা জানিনা। গঙ্গাচড়ার মডেল থানার সাব ইন্সপেক্টর মোঃ আলী হোসেন মোবাইল ফোনে মামলাটির বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।