নিয়ম না মেনে স্কুলের ভবন ভাঙার অভিযোগ
প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:৫৩ | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মগটুলা ইউনিয়নের ধীতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন বিনা টেন্ডারে ভাঙ্গার অভিযোগ ওঠেছে। উপজেলার ধীতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে পুরাতন একটি ভবন ভেঙ্গে ফেলার প্রয়োজন দেখা দিলে ভবনটি ভাঙ্গা হয় বলে স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানায়। কিন্তু ভাঙার ক্ষেত্রে কোনো নিয়ম না মেনে বিধিবহির্ভূতভাবে গোপনে কাজটি সেরে ফেলা হয়েছে বলে ধারণা করছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে উপজেলার ধীতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বিল্ডিং ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। আশেপাশে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করছে।
এলাকাবাসীরা আরও জানায়, সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ভবন ভাঙ্গার কাজ করায় এলাকায় অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি শিক্ষকদের নৈতিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। শিক্ষকরা বেআইনি কাজ করলে শিক্ষার্থীরা কি শিখবে? এমনটিই আলোচনায় উঠে আসছে।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ধীতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল ফারুক বলেন, ‘স্কুলের পাশ দিয়ে রাস্তার কাজ চলমান। যার ফলে ভবনটি পূর্ণাঙ্গ প্রক্রিয়া মানা ছাড়াই ভেঙে ফেলতে হয়েছে। ভাঙার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে উনাকে না পেয়ে অনুপ দা(অনুপ কুমার শেঠ,প্রশাসনিক কর্মকর্তা) কে জানিয়েছি। পরে উনি বলেছেন আপাতত ভেঙে রাখেন পরে অকশনে দিয়ে দিবো’।
সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী কোন ভবন ভাঙা হলে প্রকৌশল বিভাগের প্রতিবেদন দরকার হয়। কিন্তু সেটিও করা হয়েছে কিনা পরিষ্কার করে জানায়নি উপজেলা প্রকৌশলী আয়েশা আক্তার। ধীতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন ভাঙার সরেজমিনে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মুঠোফোনে তিনি বলেন,‘এ বিষয়ে কাল কথা বলবো, আপনি অফিসে আসেন আগামীকাল’।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিনা সাত্তারের মন্তব্য চাইলে দুই দিনেও তিনি পরিষ্কার মন্তব্য দেননি৷ সারমিন সাত্তার বলেন, ‘মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলে এরপর আপনার সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি’। ভবন ভাঙার বিষয়ে তিনি অবগত কিনা জানতে চাইলেও তিনি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানাবেন বলে জানান।
পরবর্তীতে আবারও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিনা সাত্তারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
অপরদিকে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলামের সঙ্গেও এ বিষয়ে জানার জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু উনাকেও ফোনে পাওয়া যায়নি। উনার কক্ষে পরপর দুই দিন গিয়েও উনাকে পাওয়া যায়নি। উনার কক্ষে থাকা হিসাব রক্ষক রাধিকা রানী দাস জানান ‘মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছুটিতে রয়েছেন’।