সোনাহাট স্থলবন্দরের ১৪৪ ধারা জারি

প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:৪৪ | অনলাইন সংস্করণ

  ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর সোনাহাট স্থলবন্দরে আমদানি রফতানি কারক সমিতির আহ্বায়ক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মুখোমুখি অবস্থান ও একই স্থানে সভা আহ্বান করায় অনাকাংক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে সোনাহাট স্থলবন্দর ও সোনাহাট বাজার এলাকায় ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪ ধারা আদেশ জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাত ৩ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত পত্রে এই আদেশ জারি করা হয়।

জানা গেছে, বুধবার দুপুরে সোনাহাট স্থল বন্দরের আমদানী ও রপ্তানী কারক সমিতির সাধারণ সভা চলছিলো। সাধারণ সভায় পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত করে বৃহস্পতিবার নতুন কমিটি গঠনের জন্য সিন্ধান্ত ছিলো। কিন্তু সাধারণ সভায় উপরোক্ত সিন্ধান্ত উপেক্ষা করে বিএনপির একটি অংশের নেতা ইফতেখারুল ইসলাম শ্যামাকে আহ্বায়ক করে নতুন কমিটি ঘোষণা করলে বিএনপির দুগ্রæপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে এঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার ঐস্থলে বিএনপির দু’গ্রুপ সভা আহ্বান করলে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়।

অনাকাংক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে বুধবার রাতেই উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। 

আদেশে বলা হয়- যেহেতু ভুরুঙ্গামারী উপজেলাধীন সোনাহাট স্থল বন্দর এলাকায় ২৮নবেম্বর একই স্থানে এবং একই সময়ে বিএনপির ২টি গ্রুপের মধ্যে থেকে সভা-সমাবেশ আহŸান করা হয়েছে এবং উক্ত সমাবেশ ঘিরে সমগ্র ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং এর ফলে আইন-শৃঙ্খলার মারাত্মক অবনতি হওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। তাই ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থল বন্দর দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ হতে পাথর ও কয়লা আমদানী করা হয় এবং সরকারি রাজস্ব আয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে সরকারি স্বার্থ ব্যাঘাত সৃষ্টি হওয়ার আশংকা রয়েছে।
সেহেতু সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে আমি মোঃ গোলাম ফেরদৌস, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, ভূরুঙ্গামারী, কুড়িগ্রাম আমার উপর অর্পিত ক্ষমতাবলে সমগ্র ভূরুঙ্গামারী এলাকায় বৃহস্পতিবার ২৮/১১/২০২৪ তারিখ সকাল ০৮:০০ ঘটিকা হতে রাত সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত ফৌজদারী কার্যবিধির ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারা জারী করলাম। 

ভূরুঙ্গামারী  উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গোলাম ফেরদৌস ১৪৪ ধারা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গোটা উপজেলা বলা হলেও আসলে স্থল বন্দর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।