৭০ হাজার টন কয়লা নিয়ে জেটিতে ইন্দোনেশিয়ার জাহাজ
ফের উৎপাদনে যাচ্ছে মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র
প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:৫৭ | অনলাইন সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার
কয়লা সংকটে প্রায় এক মাস বন্ধ থাকার পর আবারও উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। বুধবার ইন্দোনেশিয়া থেকে পানামার পতাকাবাহী জাহাজ 'ডেকল্যান ডাফ' ৭০ হাজার টন কয়লা নিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিজস্ব জেটিতে ভিড়েছে। এরপর বিকেলে জাহাজ থেকে কয়লা আনলোড শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে কয়লা সংকটের কারণে গত ৩১ অক্টোবর ১২০০ মেগাওয়াটের দুই ইউনিটের এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরোপুরি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কয়লা রোববার থেকে কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উৎপাদনে যাবে বলে জানিয়েছেন কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমান।
তিনি জানান, ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা জাহাজটি কেন্দ্রের জেটিতে পৌঁছার পর বুধবার বিকেলে কয়লা খালাস শুরু হয়েছে। মেঘনা গ্রুপ আমদানি করা এই জাহাজে ৭০ হাজার টন কয়লা রয়েছে।
কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির তথ্য মতে, বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট কমিশনিংয়ের জন্য জাপানের সুমিতমো করপোরেশনের মাধ্যমে কয়লা আনার চুক্তি হয়। জাপানি এই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চলতি বছরের আগস্টে চুক্তি শেষ হয়েছে। কেন্দ্রগুলো কমিশনিং করার জন্য জাপানের এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২২ লাখ ৫ হাজার টন কয়লা আমদানি করা হয়েছিল।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সুমিতমোর সরবরাহ করা কয়লা শেষ হওয়ার আগেই নিয়ম অনুযায়ী কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানী দরপত্র আহ্বানের কথা থাকলেও শীর্ষ কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে কয়লা আমদানি আটকে যায়। এরপর বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
তথ্য মতে, তিন বছরের কয়লা সরবরাহের জন্য কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে। কিন্তু তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ একটি প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দিতে ১০ মাস দেরি করে। তখন অনিয়মের অভিযোগ তুলে কনসোর্টিয়াম অব বসুন্ধরা, ইকুইন্টিয়া ও অথ্রোর আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট কয়লা আমদানিতে ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা দেয় গত জুলাই মাসে। ফলে সব প্রক্রিয়া শেষ করে কয়লা আমদানি করতে এ মাস পর্যন্ত সময় লেগে যায় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
৫১ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২০০ মেগাওয়াট এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৬০০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট ২০২৩ সালের জুলাই মাসে উৎপাদনে আসে। বাকি ৬০০ মেগাওয়াটের ইউনিটটি একই বছরের ডিসেম্বর মাসে চালু হয়।