বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, খুনি হাসিনা বাংলাদেশ মানুষের রক্ত নিয়ে খেলা করতে চায়। আওয়ামী লীগ এতো মানুষকে হত্যা করেও অনুতপ্ত হয়নি। আমরা গণতন্ত্রের বিশ্বাসী জনগণের ভোট নিয়েই নির্বাচিত হতে চাই।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল ধোপাকান্দি সরকারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমার সিরাজগঞ্জের রাজনীতি খুনি হাসিনা চিরতরে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলো। এজন্য আমাকে জেলে ঢুকাতে চেয়েছিলো। কিন্তু হাসিনার জেল আমি মানি নাই। বিদেশে বসে থেকেও আন্দোলন পরিচালনা করার চেষ্টা করেছি।
তিনি জুলাই-আগস্টে শহীদের স্মরণ করে বলেন, কৃতজ্ঞতা জানাই শহীদ সাইন, শহীদ মুগ্ধ দেশের ২ হাজার শহীদের। তাদের রক্তের জন্য এ দেশ মুক্ত হয়েছে। আওয়ামীলীগ মানুষ না এরা হায়েনা। বিএনপির এমন কোন নেতাকর্মী নাই জেলে যায় নাই এবং নির্যাতনের শিকার হয় নাই। শহীদ জিয়া গণতন্ত্রের বিশ্বাস করতেন। তিনি সবাইকে গণতন্ত্রের অধিকার দিয়েছিলো। কিন্তু খুনি হাসিনা এদেশের মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন করেছে।
তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের দলেও মধ্যে যদি আওয়ামী লীগ ঢুকে বা কেউ ঢুকাই এটা যদি প্রমাণিত হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। হিন্দুদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, হিন্দু ভাইদের বলতে চাই। হাসিনার ট্র্যাপে পা দিবেন না। এখন যে আওয়ামী হিন্দু মিছিল করছে আসলে এরা হিন্দু না। এরা আওয়ামী লীগ এরা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। এজন্য আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
কামারখন্দ উপজেলা বিএনপির সভাপতি বদিউজ্জামান ফেরদৌসের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) আমিরুল ইসলাম খান আলীম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি রুমানা মাহমুদ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, সাংগঠনিত সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়েস, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেজাতে রাব্বি উথান প্রমুখ।